দেবদাস মজুমদার >
আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন পত্রিকায় পাঁচ বাকব প্রতিবন্ধী পরিবারের গৃহবধূ মঞ্জিলা বেগমকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকামের পর পিরোজপুরের কাউখালীতে গৃহবধূ মঞ্জিলা বেগমকে পুনর্বাসন সহায়তা হিসেবে গাভী প্রদান করেছেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সেখ।
সম্প্রতি আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন পত্রিকায় মঞ্জিলার বাকপ্রতিবন্ধী সংসার এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক প্রতিবেদনটি তাঁর পেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করে পরিবারটিকে সহায়তার কথা জানান। তিনি অতিদরিদ্র ঐ প্রতিবন্ধী পরিবারটির দুঃখ দুরদর্শার কথা জানতে পেরে জেলা প্রশাসক অসহায় পরিবারটিকে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য একটি গাভী প্রদানের উদ্যোগ নেন।
বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসক কাউখালীর সন্ধ্যা নদী তীরবর্তী আমরাজুড়ী চরের আবাসন প্রকল্পের আশ্রিত বাক প্রতিবন্ধীদের মা মঞ্জিলার হাতে গাভীটি তুলে দেন।
পরে আমরাজুড়ী আবাসন প্রকল্পের সভাপতি চান মিয়ার সভাপতিত্বে বাল্য বিবাহ, মাদক, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাস বিরোধী আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সেখ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাবনী চাকমা,শিক্ষানুরাগী আবদুল লতিফ খসরু, চন্দ্র শেখর দে, চার বাক প্রতিবন্ধী সন্তানের মা মঞ্জিল, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
পরে জেলা প্রশাসক কাউখালীর আমরাজুড়ী আবাসনে সমাজসেবক আব্দুল লতিফ খসরু প্রতিষ্ঠিত বাকপ্রতিবন্ধী পাঠশালা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য,কাউখালীর সন্ধ্যা নদীর নিভৃত চরে আবাসন প্রকল্পের এককক্ষের একটি ঘরে ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে কোন রকম বেঁচে রয়েছে মঞ্জিলার পরিবার। চরম দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত এই নারীর পাঁচ বাকপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন। একাধারে বাকপ্রতিবন্ধী স্বামী আশ্রাফ আলী কর্মহীন, অপরদিকে চার বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানের ‘মা’ ডাক শোনা থেকেও বঞ্চিত মঞ্জিলা। মঞ্জিলার চার সন্তান নিজাম (১৬), শারমিন (১২), রিয়াজ (১০) ও রিফাত (৭) জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। মঞ্জিলার বাকপ্রতিবন্ধী স্বামী আশ্রাফ আলী কেবল উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পান। কিন্তু সামান্য এ ভাতায় তাঁদের ৬ সদস্যের সংসারের ভরণপোষণ চলেনা ।