ব্রেকিং নিউজ
Home - খেলাধুলা - মেসি-সুয়ারেসের গোলবন্যায় ফাইনালে এক পা বার্সার

মেসি-সুয়ারেসের গোলবন্যায় ফাইনালে এক পা বার্সার

লুইস সুয়ারেস একাই করলেন চার গোল, হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসলেন লিওনেল মেসিও। নেইমার গোল পাননি, কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়েই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছেন। আর ‘এমএসএন’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা এই আক্রমণত্রয়ী একসঙ্গে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষের যা হওয়ার তাই হয়েছে, ৭-০ গোলে উড়ে গেছে ভালেন্সিয়া।

অসাধারণ এই জয়ে কোপা দেল রের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ের শেষ ধাপে বার্সেলোনা যে পৌছে গেছে, তা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারণ আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে হিসেবটা পাল্টাতে হলে অসম্ভবকে সম্ভব করলেই হবে না, ঘটাতে হবে ফুটবল ইতিহাসের সেরা অঘটন।

ঘরের মাঠে শুরু থেকেই গোল উৎসবে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। শুরুটা করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেস, গোলটিতে দারুণ অবদান ছিল নেইমারের। মাঝ মাঠে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ব্রাজিল অধিনায়ক অনেকটা দৌড়ে ডান দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেসকে পাস দেন। আর দারুণ কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।

পাঁচ মিনিট বাদে দলকে আবারও উল্লাসে ভাসান সুয়ারেস। ডি বক্সের বাইরে থেকে সের্হিও বুসকেতস বল বাড়ান আলেইস ভিদালকে, গোললাইনের কাছ থেকে তার ব্যাকপাস পেয়ে ১০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।

Neymar,+Luis+Suarez+and+Lionel+Messi+celebrate+a+goal+against+Valenciaদ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বার্সেলোনা, প্রতিপক্ষের রক্ষণে ক্রমেই চাপ বাড়াতে থাকে তারা। দ্রুত ফলও পেয়ে যায়, স্কোরশিটে নাম লেখান লিওনেল মেসি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বাড়ানো বলে ডি বক্সের মাথায় আর্জেন্টিনা অধিনায়কের উদ্দেশে আলতো ফ্লিক করেন নেইমার, নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।

বিরতির আগে আরও দুটি গোল পেতে পারতো বার্সেলোনা, কিন্তু দুর্ভাগ্য আর নেইমারের ব্যর্থতায় সেটা হয়নি। ৪৪তম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে সুয়ারেস মাঝ মাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে ডান দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়া মেসির দিকে বল বাড়ান। কিন্তু দলের সেরা তারকার শটটি পোস্টে বাধা পায়।

পরের মিনিটে বল পায়ে একাই বক্সে ঢুকে পড়া মেসিকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করায় ভালেন্সিয়ার জার্মান ডিফেন্ডার মুস্তাফিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা, কিন্তু পোস্টে বল মেরে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন নেইমার।

এক জন কম নিয়ে খেলা ভালেন্সিয়ার রক্ষণে দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে চাপ ধরে রাখে বার্সেলোনা। তিন মিনিটের মধ্যে সহজ দুটি সুযোগ নষ্ট করার পর ৫৮তম মিনিটে আর হতাশ করেননি মেসি।

তুরস্কের মিডফিল্ডার আর্দা তুরানের পাসে ব্যাকহিল করে মেসিকে বল বাড়ান সুয়ারেস। আর সঙ্গে লেগে থাকা এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন বর্ষসেরা তারকা।

৭৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লিওনেল মেসি।

৫-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও একইরকম আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা চালিয়ে যায় বার্সেলোনা। তারই ফলশ্রুতিতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল করেন সুয়ারেস।

বদলি নামা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার আদ্রিয়ানোর ক্রসে দুরূহ কোণ থেকে হেডে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সুয়ারেস। আর ৮৮তম মিনিটে তুরানের পাস ধরে নিজের চতুর্থ ও দলের সপ্তম গোলটি করেন লিভারপুলের সাবেক এই স্ট্রাইকার।

এই চার গোলে সুয়ারেসের এই মৌসুমে মোট গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ ম্যাচে ৩৫টি।

পুরো ম্যাচে অসংখ্য সুযোগ বিফলে যাওয়ার হিসাব বাদ দিয়ে শুধু শেষ পাঁচ মিনিটেই নেইমার তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। অন্যথায় ভালেন্সিয়ার জন্য স্কোরলাইনটা হতে পারতো আরও লজ্জার।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ার গুলিসাখালী জি, কে, ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার গুলিসাখালী জি, কে, ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩দিন ব্যাপী ৭৩ তম ...