ব্রেকিং নিউজ
Home - দৃশ্যকাব্য - মঠবাড়িয়ার মাঝের চরের ঘাট বিলীনের দিকে

মঠবাড়িয়ার মাঝের চরের ঘাট বিলীনের দিকে

এস.এম. আকাশ > প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর বিধ্বস্ত পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝের চরে নির্মিত বৃটিশ রাজ পরিবারের মানবিকতার স্মারক দৃষ্টি নন্দন ঘাটটি বলেশ্বর নদের কড়াল গ্রাসে বিলিন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে ঘাটের আংশিক ভেঙ্গে পড়েছে বাকী অংশও যে কোন সময় বলেশ্বরের গর্ভে বিলিনের পথে। জীবন-জীবিকার অপরিহার্য্য সঙ্গী ঘাটটি রক্ষার দাবী মাঝের চরের প্রায় দেড় শত জেলে পরিবারের।

বলেশ্বরের বুকে জেগে উঠা মাঝেরচর উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম। বিশাল আয়তনের এই চরটি ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘূর্ণী ঝড় সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আশ্রয়হীন হয় চরের প্রায় দেড় শতাধিক জেলে পরিবার। আশ্রয়হীন ১৬৪ জেলে পরিবারকে মানবিকতার হাত প্রসারিত করে পূনর্বাসন করে দেয় বৃটিশ রাজ পরিবার। পূনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০০৮ সালে বৃটিশ বিজনেস গ্রæপ মাঝের চরে নির্মাণ করে একটি সুদৃশ্য ঘাট। পূনর্বাসন কার্যক্রম কয়েক বছর পূর্বে শেষ হলেও ঘাটটি থেকে যায়। শুধু খেয়া পারাপার ও মালামাল উঠা-নামা ছাড়াও ঘাটটি অবসর সময়ে জেলেদের নির্মল বাতাসে বিনোদনের স্থানে রুপ নেয়।

বর্তমানে মাঝের চরে চলছে বলেশ্বরের ত্রিমূখি ভাঙ্গন। সরেজমিনে দেখা গেছে ভাঙ্গনের মুখে বৃটিশ রাজ পরিবারের মানবিকতার স্মারক মাঝের চরের দৃষ্টি নন্দন ঘাটটির ওপরের অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। ঘাটের নিচ থেকে প্রায় ৭০ ভাগ মাটি ধুয়ে গেছে। আরসিসি কলমের নিচ থেকে মাটি সরে গেলে ঘাটটি বলেশ্বরে বিলিন হয়ে যাবে।

মাঝের চরের জেলে মো. আবুল কালাম তালুকদার(৪০) জানান, আমরা মাছ ধরে এই ঘাটের মাধ্যমে বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে বিক্রি করে থাকি। ঘাটটি আংশিক ভেঙ্গে গেলেও দেখার কেউ নাই। ঘাটে বসে কথা হয় জেলে মোঃ শাহ আলম খান(৪০) ও মোঃ জাকির হোসেন(৩৬) এর সাথে তারা জানান, চরের প্রায় ৫০ জন শিশু মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য আমরাগাছিয়া, উলুবাড়িয়া ও হোগলপাতির বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসায় এই ঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া করে থাকে। এসব শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ার পূর্বে ঘাটটি সংরক্ষণের জন্য তারা কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ভাঙ্গন রোধের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধিন। পানি উন্নয়ন বোর্ড উদ্যোগ নিলে সহযোগিতা করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মঠবাড়িয়া অফিসের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিও) মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, মাঝের চরটি বন বিভাগের আওতাধিন হওযায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু করার নাই। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও অফিস কক্ষে তালা ঝুলতে দেখায় ও ফোন নাম্বারটি বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
…………………………
# সূত্র > স্বাধীন বাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কম

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...