ব্রেকিং নিউজ
Home - দৃশ্যকাব্য - দৃ শ্য কা ব্য – ভেষজ তেলাকুচা

দৃ শ্য কা ব্য – ভেষজ তেলাকুচা

প্রাণ ও প্রকৃতি আমাদের বাঁচায়। আবার নানা রকম রোগ ব্যাধি মুক্ত করে দেয়। উদ্ভিদের ভেষজ একটা গুণ থাকে যা মানব শরীরে দরকারী । কিছু উদ্ভিদ আমরা আবাদ করি , কিছু আবার পথে প্রকৃতিগত জন্মে। এই অচাষকৃত উদ্ভিদ কেউ আমারা চিনি আবার কেউ চিনিনা। কবিরাজ চেনে ভেষজ প্রাণ।
পথ চলতে গেলে মাঝে মাঝে সবুজাভ উদ্ভিদের দিকে চোখ রাখলে নাকি চোখ ভাল থাকে মন প্রসন্ন হয়। ঠিক তাই ,,,,, এই সুনন্দর পরিপক্ক ফল দলকে পথেই খুঁজে পেয়েছি। বরিশালের বাখরগঞ্জের কাছে মহা সড়কের পাশে এক ঝোঁপে ঝুলে ছিল। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে একে ‘কুচিলা’, তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। তেলাকুচা একপ্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। এর ডাটা শাক হিসেবেও খাওয়া যায় বলে ’গাঁয়ের মানুষ ভাল চেনে । তবে তেলাকুচা অচাষকৃত উদ্ভিদ। প্রকৃতিগত ভাবেই ঝোঁপে ঝাড়ে জন্মে। দরকারী এ উদ্ভিদটি ঠিক আগের মত দেখা মেলেনা।

তেলাকুচা একটি লতানো উদ্ভিদ। এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। লতার কাণ্ড থেকে আকশীর সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে উপরে উঠে। পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজায়, পাতা ও লতার রং সবুজ।
তেলাকুচা, বসতবাড়ির আশেপাশে, রাস্তার পাশে, বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশবিস্তার করে। সাধারণত বাংলা চৈত্র-বৈশাখ মাসে তেলাকুচা রোপন করতে হয়। পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীস্মকালে মৌসুমী বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে। শীতকাল ছাড়া সব মৌসুমেই তেলাকুচার ফুল ও ফল হয়ে থাকে। ফল ধরার ৪ মাস পর পাকে এবং পাকলে টকটকে লাল হয়।
তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে । কবিরাজী চিকিৎসায় তেলাকুচা বেশ কিছু রোগে ব্যবহৃত হয়, যেমন- কুষ্ঠ, জ্বর, ডায়াবেটিস, শোথ (edema), হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ও জন্ডিস।
এর বোটানিক্যাল নাম ‘Coccinia grandis’ বা Coccinia Cordifolia Cogn। এটি Cucurbitaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং ভেষজ নাম: Coccinia।
এর ইংরেজি নাম ‘ivy gourd’, baby watermelon, little gourd বা gentleman’s toes। এটি ক্রান্তীয় অঞ্চলের লতাগাছ। এর অন্যান্য বৈজ্ঞানিক নামগুলো হলো Cephalandra indica এবং Coccinia indica । কানাড়া ভাষায় এর নাম ‘thonde kaay। অনেক অঞ্চলে এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়।

………দেবদাস মজুমদার, বাখরগঞ্জ.বরিশাল । ২৭. ০৩. ২০১৬

Leave a Reply

x

Check Also

ব্যাঙের ছাতায় ভেষজ গুণ

দেবদাস মজুমদার <> স্থানীয় পরিচিতি ব্যাঙের ছাতা । অঞ্চলভেদে ভূঁইছাতা, কোড়ক ছাতা, ছত্রাক, পলছত্রাক, ভুঁইছাতি, ...