ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - ধর্ম ও জীবন - নানা সমস্যায় জর্জরিত মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদটি

নানা সমস্যায় জর্জরিত মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদটি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র কাঠের তৈরী মমিন জামে-মসজিদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।

সামান্য বৃষ্টি হলেই মসজিদটির মেঝেতে পানি পড়ে। ফলে মেঝেতে কাঁদা ও উঁইপোকা লেগে যায়। কয়েক বছর ধরে মেঝেতে লবনাক্ত দেখা দিয়াছে। যে কারনে ফ্লোরম্যাট, কার্পেট, পাটি ও জায়নামাজ বিছানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

ফরাজী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মরহুম মৌলভী মমিন উদ্দিন আকনের একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলা ১৩১৮ সালে তৎকালীন দিল্লির ২২ জন কাঠ মিস্ত্রি পেরেক ব্যবহার ছাড়াই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মৌলভী মমিন উদ্দিন আকনের নামের সাথে মিল রেখে মমিন মসজিদ নামকরণ করাহয়েছে। এ অঞ্চলের মূল সড়কটিও ‘মমিন মসজিদ সড়ক’ নামকরণে করা হয়েছে। মসজিদটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম মসজিদের ২৩ তম স্থান দখল করে আছে। সরকারের প্রত্নত্বান্তিক বিভাগ মসজিদটি খোঁজ-খবর রাখছেন। তবে উত্তারাধীকার সূত্রে তার নাতী আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে মসজিদটির দেখাশুনা করছেন।

আবুল কালাম আজাদ জানান, মসজিদটির পাশে বিভিন্ন প্রজাতির উঁচু গাছ হয়েছে। বিভিন্ন সময় ঝড়-বাতাসে গাছের ডাল মসজিদটির ওপর পরে। কোন বড় গাছ ভেঙে পড়লে মসজিদটির অপুরনীয়ক্ষতি হয়ে যাবে। তাছাড়া সার্বক্ষনিক গাছের পাতা ঝড়ে পড়ে। ফলে টিনে মরিচা ধরে গেছে।টিনের কার্নিশ ছোট, যে কারনে রোদ বৃষ্টিতে সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঝড়ো হাওয়া ভিতরে ঢুকে যায়। সামান্য বৃষ্টি হলেই মসজিদটির মেঝেতে পানি পড়ে। পরিবেশগত কারনে ফ্লোরের উচ্চতা কমে গেছে। বর্তমানে মাটি থেকে মসজিদের ফ্লোর মাত্র দেড় ফুট উঁচু। বৃষ্টি হলেই পানি ছিটকে ভিতরে ঢুকে যায়। ফলে মেঝেতে কাঁদা ও উঁইপোকা লেগে যায়। কয়েক বছর ধরে মেঝেতে লবনাক্ততা দেখা দিয়াছে। যে কারনে ফ্লোরম্যাট,পাটি ও জায়নামাজ বিছানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।তিনি ক্ষোভের সাথে আরো জানান, সিডর পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ্য মসজিটি ৭জন কাঠ মিস্ত্রী সংস্কার করেন। এসময় যে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে যা নিম্ন মানের কাঠ। যা পুরাতন কারুকার্যের সাথে মিল নেই। সে কাঠগুলোতে ঘুনপোকা লেগে গেছে। যে মসজিদটি সম্পূর্ণ কাঠের তৈরী সেখানে সংস্কারের নামে পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে। ছাউনী টিনের স্ক্রু ঢিলে হওয়ার কারনে সামান্য বাতাসে টিন ঝর-ঝর করে। সেগুলো ভালোভাবে আটকানো হয়নি।এমনকি চালার টিনের ওপর খোদাই করা আল্লাহু লেখা উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।অাবুল কালাম আজাদ মসজিদের পাশের উঁচু গাছগুলো কেঁটে ফেলা ও সরাসরি সরকারি ভাবে একজন খাদেম নিয়োগে সরকারের প্রত্নত্বান্তিক বিভাগের নিকট দাবী জানান।

স্থানীয় যুবক মোঃ মাসুদ মিয়া জানান, মসজিদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত । এলাকা বাসির সহযোগিতায় মসজিদের বারান্দা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন দুই পর্বে এলাকার শিশুদের কুরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। দুই পর্বে শতাধীক ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত ভাবে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করে। তবে বারান্দা দেওয়ার কারনে মসজিদের শোভা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বারান্দার বিকল্প হিসেবে মসজিদের উপর দিয়ে বড় একটি ছাদ নির্মানের দাবী জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া মোঃ ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মমিন মসজিদটি আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটি রক্ষণা-বেক্ষনের জন্য একজন দায়িত্বশীল লোকের প্রয়োজন ৷

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...