ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বরকতময় মাহে রমজানের গুরুত্ব, ফযীলত ও শিক্ষা

বরকতময় মাহে রমজানের গুরুত্ব, ফযীলত ও শিক্ষা

মুসলিম জীবনে বরকতময় মাহে রমযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ধর্মীয় ও সামাজিক; উভয় জীবনেই অপরিসীম। এই মহিমান্বিত মাসের ফযীলত ও মর্যাদা সঠিকভাবে নিরূপণ করা অত্যন্ত দূরহ ব্যাপার। যা পবিত্র কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফের অসংখ্য বর্ণনা দেখলেই সহজে উপলব্ধি করা যায়। অনুরূপ ভাবে এই মাসের সঠিক শিক্ষা মুসলিম সহ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানব জীবনে এতো চমৎকার প্রভাব ও ভূমিকা রাখে যা সত্যিই বিস্ময়কর এবং বর্ণনাতীত। মাহে রমযানুল মুবারক পবিত্র রোযা পালনের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের মাস। পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস, হাজার মাসের চেয়ে উত্তম পবিত্র শবে ক্বদরের রজনীও এই মহিমান্বিত মাসে। মহান আল্লাহ তা’য়ালার অসীম রহমত ও অফুরন্ত কল্যাণের মাস মাহে রমযান। বান্দার সকল পাপ ক্ষমা এবং সর্বশেষ একজন মুমিন মুসলমানের সব চাইতে বড় প্রার্থনা জাহান্নামের ভয়াবহ অাগুন থেকে মুক্তি লাভের মাস এই মাহে রমজানুল মুবারক। ক. মাহে রমযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্যঃ = মাহে রমজানের প্রকৃত গুরুত্ব ও তাৎপর্য ইসলামিক এবং ঐতিহাসিক নিম্নোক্ত নানা কারণেই অত্যন্ত বেশী।
১. ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ সিয়াম সাধনার মাসঃ — এ মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রোজা পালন করা। ইসলামের অন্যতম রোকন, পাঁচটি মূল ভিত্তির অন্যতম হল রোজা। পারিভাষিক অর্থে রোজা হল, সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়্যাত সহ পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমদের উপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার – নির্দিষ্ট কয়েকদিন মাত্র।’’ [°১] “সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ (রমযান) মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোযা পালন করে।’’ [°২]
২. পবিত্র কুরআনুল কারীম অবতীর্ণের মাসঃ — কুরআন মাজীদ হচ্ছে মুসলমানদের জীবনের পথ প্রদর্শক। আদিষ্ট এবং নিষিদ্ধ কাজের ঐশী সংবিধান। তাই মুসলিম মাত্রই আল কুরআনকে এবং এতে অবতীর্ণ প্রতিটি বিষয়কে জীবনের চেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। আল্লাহ তায়া’লা মানব জাতির কল্যানের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ আল কুরআন এই মহিমান্বিত ও সন্মানিত মাসেই নাযিল করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, রামাদান মাসেই আল কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।’’ [°৩] তাই এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদরের রজনীঃ — মাহে রমজানের শেষ দশ দিনের কোন এক রাতে পূন্যময় শবে ক্বদরের রজনী। যে রাতের ইবাদাত এক হাজার মাসের ইবাদাতের চেয়েও ফযীলত পূর্ণ ও মর্যাদাবান। মহান আল্লাহ তা’য়ালা এই মহাপূন্য রজনী সম্পর্কে বলেন, “পবিত্র শবে ক্বদরের রজনী এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাত্রে ফেরেশতাগণ ও জিবরাঈল (আঃ) তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে অবতীর্ণ হন প্রত্যেক গুরুত্ব পূর্ণ কাজে। সূর্যোদয় পর্যন্ত তাঁর পক্ষ থেকে শান্তি বর্ষিত হতে থাকে।’’ [°৪] যেহেতু এই বরকতময় মাসে তাই এ মাসের গুরুত্ব সীমাহীন।
৪. রহমতের মাসঃ — মাহে রমযানের প্রথম রাতে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর রহমতের দৃষ্টিতে বান্দার দিকে নজর করেন। যার প্রতি সেই দৃষ্টি নিপতিত হয় তথা রহমত বর্ষিত হয়, তার উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়।
৫. জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত এবং জাহান্নামের দ্বারসমূহ রুদ্ধ করণঃ — প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রামাদান মাসের আগমনে জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা গুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শিকল আবদ্ধ করা হয়। [°৫]
৬. দুয়া’ কবুলের মাসঃ — এ মাসেই তিনি এতো বেশী রহমত বর্ষণ করেন যে, বান্দার সকল দুয়া’ সমূহ তিনি কবুল করে নেন। পবিত্র হাদীস শরীফেও এর ইঙ্গিত রয়েছে। “রমযান মাসে প্রত্যেক বান্দার দুয়া’ কবুল হয়ে থাকে।” [°৬] ৭. জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাসঃ — নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে বলেন, “রমযানের প্রতি দিনে ও রাতে জাহান্নাম থেকে আল্লাহর কাছে অসংখ্য বান্দা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে।
৮. ইসলামের প্রথম বিজয় বদর যুদ্ধের মাসঃ –— নবীজী সাঃ মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের পর কাফির মুশরিক বাহিনী ইসলামের প্রচার ও প্রসারতার ব্যাপকতা দেখে ইসলামকে চিরতরে মিটিয়ে দেয়ার জন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে। বদর প্রান্তরে প্রায় এক হাজার সুসজ্জিত অস্ত্রধারী কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র ৩১৩ জন সাহাবী (রাঃ) ১৭ ই রমজান রোযা অবস্থায় যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করেন। আল্লাহ তা’য়ালা সরাসরি ফেরেশতা দ্বারা সেই যুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন যার সমর্থনে আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। সেই থেকে ইসলামী রাষ্ট্রের সুরক্ষা,শত্রুদল প্রতিরোধে আত্মত্যাগের ইসলামী চেতনায় বদর এক ঈমানী বিপ্লবের নাম। খ. মাহে রমজানের রোজার ফযীলত ও মর্যাদাঃ বছরের অন্নান্য এগারো মাসের উপর রমযানের ফযীলত ও মর্যাদা ঠিক তেমন, যেমন ছোট ছোট নাম জানা-অজানা তারকারাজির উপর সূর্যের মর্যাদা। পবিত্র কুরআন ও সহীস হাদিসের নিচের আলোচনা দ্বারা পাঠকবর্গ আশা করি এর মর্যাদা ও ফযীলত সম্পর্কে সাম্যক ধারণা পাবেন।
১. রোযার প্রতিদান অনির্ধারিত এবং স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা নিজে প্রদান করবেনঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ বলেছেন, ‘‘বনী আদমের সকল আমল তার জন্য, অবশ্য রোযার কথা ভিন্ন। কেননা, রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর পুরস্কার দিব।’’ [°৭]
অন্য একটি হাদীসে আছে, “রোযাদারের জন্য দু’টো খুশীর সময় রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় এবং অন্যটি স্বীয় প্রভু আল্লাহ তায়ালার সাথে মিলিত হওয়ার সময়।’’ [°৮]
২. রোযা রাখা গুনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং ক্ষমা লাভের কারণঃ – রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রামাদান মাসে রোযা রাখবে, তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [°৯] ৩. উভয় জাহানে বিশেষ মর্যাদাঃ একজন রোযাদারের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় জাহানে রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। নিচের হাদীসদ্বয় তার সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন সেই পবিত্র সত্তার শপথ! রোযাদারের মুখের গন্ধ কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে মিসকের চেয়েও সুগন্ধিময়।’’ [°১০] অন্য হাদীসে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “জান্নাতে ‘রাইয়ান’ নামক একটি দরজা রয়েছে, কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে।” [°১১] ৪. রোযাদারের জন্য রোযা শাফায়াত করবেঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য শাফায়াত করবে। রোযা বলবে, হে রব! আমি তাকে দিবসে পানাহার ও কামনা চারিতার্থ করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছি। অতএব, তার ব্যাপারে আমাকে শাফায়াত করার অনুমতি দিন।’’ [°১২] ৫. রোযা জাহান্নামের অাগুন থেকে মুক্তির ঢালঃ রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোযা রাখে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর বৎসরের দূরত্বে নিয়ে যান।’’ [°১৩] অন্য একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, ‘‘রোযা ঢাল স্বরূপ! যা দ্বারা বান্দা নিজেকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে পারে, যেভাবে তোমাদের কেউ একজন যুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করে।’’ [°১৪] গ. বরকতপূর্ন মাহে রমজানের শিক্ষা ঃ এ মাসের ধর্মীয় বিধান গুলো যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে মানব সত্তায় বিচরণ করা পশু প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মহান চরিত্র অর্জনের সুন্দর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি (রোযা রেখে) মিথ্যা কথা ও সে অনুযায়ী কাজ করা বর্জন করে না তবে তার শুধু খাদ্য ও পানীয় বর্জন করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই”। [°১৫] ‘‘মিথ্যা কথা ও তদনুযায়ী কাজ’’ কথাটি দ্বারা মূলত: রোযা অবস্থায় উম্মতের সকলকে পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে সাবধান করা হয়েছে। আর ‘‘আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’’ কথাটি দ্বারা রোযা অসম্পূর্ণ হওয়ার, কিংবা কবুল না হওয়ার অথবা রোযার সওয়াব না হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। অন্য আরেকটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-‘‘তোমাদের কেউ রোযার দিনে অশ্লীল কথা যেন না বলে এবং শোরগোল ও চেঁচামেচি না করে। কেউ তাকে গালমন্দ করলে বা তার সাথে ঝগড়া করলে শুধু বলবে, আমি রোযাদার ।’’ [°১৬] এই প্রশিক্ষণ মানুষকে আল্লাহর ভয় তথা পরহেজগারিতার শিক্ষা দেয়। ফলে একজন রোজাদার ব্যক্তি যেমনি সর্বক্ষেত্রে ত্বাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে পূন্য অর্জনের বিশাল সুযোগ পান তেমনি সে অনুযায়ী ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক জীবনে তাক্বওয়া ভিত্তিক জীবন গঠন করতে সক্ষম হন। ঘুষ, প্রতারণা, মিথ্যাচার, পরনিন্দা, দূর্ণীতি সহ সকল অন্যায়মুক্ত জীবন পরিপালনে সচেষ্ট হন। সমগ্র বিশ্বের মুসলিমদের চারিত্রিক অবক্ষয় ও অধঃপতন থেকে আত্মরক্ষার সুশিক্ষাও আমরা এই মাহে রমজানে পাই। রমযান মানবীয় সুন্দর গুনাবলী প্রস্ফুটিত করে। ধর্মীয় চেতনাকে জাগ্রত করে। রোযা পালনের মাধ্যমে অভুক্ত দরিদ্র, অসহায় মানুষের ক্ষুধার তীব্রতা বাস্তবতার নিরিখে উপলব্ধি করতে পারে। ফলে মাহে রমজানের শিক্ষা পরষ্পর সহমর্মিতা, সহযোগিতাপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। মাহে রমযান আমাদের আত্মসংযম ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়। একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ দেশ প্রতিষ্ঠায় মাহে রমযানের শিক্ষার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের কায়মনে প্রার্থনা যাতে, মাহে রমযানের হক সমূহ যথাযথ ভাবে পালন করতে পারি। রমযানের রোজা পালনের মাধ্যমে পরহেজগারিতা অর্জন করে এই মহিমান্বিত মাসের শিক্ষানুযায়ী আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন পরিচালনা করতে পারি। প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম প্রেরিত হোক।
টীকা ও তথ্য সহায়িকাঃ
১:সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৩-১৮৪ ২:সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫ ৩:সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫ ৪:সূরা আল-ক্বদরঃ ৩-৫ ৫:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০০, ৩১০৩ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং২৫৪৭ ৬:মুসনাদে ইমাম আহমদ, হাদীস নং ৭৪৫০ ৭:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫, ৫৫৮৩ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬০ ৮:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫ সহীহ মুসলিম, হদীস নং ২৭৬৩ ৯:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯১০ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮১৭ ১০:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬২ ১১:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৬ ১২:মুসনাদে ইমাম আহমাদ, হাদীস নং ৬৬২৬, আল-মুস্তাদরাক আল হাকেম, হাদীস নং ২০৩৬ ১৩:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৮৫ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৭ ১৪:মুসনাদে ইমাম আহমাদ, হাদীস নং ১৭৯০৯ ১৫:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৪ ১৬:সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫
লেখক > মুহাম্মাদ সাদিকুর রহমান, কায়রো, মিশর।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...