পিরোজপুর প্রতিনিধি >
পিরোজপুরে তাবলীগ জামাতের ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। পিরোজপুর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বলেশ্বর নদীর তীরে খুমুরিয়া এলাকার লোপা ব্রিকস্ ফিল্ড ও নিকটবর্তী মাঠে এ তাবলীগ জামায়াতের আঞ্চলিক জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। পিরোজপুরে এই প্রথম এ ধরনের অনুষ্ঠিত তাবলীগ জামাতে অংশ গ্রহন করার জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ,বরগুনা,ঝালকাঠী জেলা থেকেও শত শত মানুষ অংশ নেয়। জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন সদর উপজেলার দুর্গাপুর জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. হারুন অর রশিদ। জুম্মার নামাজে অংশ নেন সদর আসনের এমপি একেএমএ আউয়াল, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সেখ, পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক সহ স্থানীয় সরকারী বেসরকারী ব্যাক্তিবর্গ। এছাড় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া বিদেশি মুসল্লিরাও এই জেলা ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। শনিবার দুপুর ১২ টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে তিন দিনের ইজতেমা শেষ হবে।
তাবলীগ জামাতের আয়োজনে প্রথমবারের মতো পিরোজপুরে এ জেলা ইজতেমা হচ্ছে। ইজতেমায় মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য ৮ টি সড়ক নির্মান করা হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে ৭শ অস্থায়ী শৌচাগার।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, ইজতেমাস্থলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ৪ টি পর্যবেক্ষন টাওয়ার তৈরী, আর্চওয়ে স্থাপনসহ ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।
জেলা তাবলীগ জামায়াতের জিম্মাদার (আমীর) মো.নুরুল হক বলেন, স্বেচ্ছাসেবক (সাথীরা) প্রায় ১ মাসধরে কাজ করে ৩০ একর জায়গায় প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্যাণ্ডেল তৈরী করেছেন।
পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, ইজতেমা স্থলে পিরোজপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তদারকির জন্য একটি টিমও গঠন করা হয়েছে। মাঠে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। অংশগ্রহনকারীদের চিকিৎসা সেবা দিবার জন্য সরকারী সেবার পাশাপাশি এপেক্স ক্লাব অব পিরোজপুর একটি মেডিকেল টিম ডাক্তার সহ সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।