২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য জমজমাট আয়োজন চলছে কাতারে; যা মূলত: দোহা কেন্দ্রীক। ভ্যেন্যুর কাজের সাথে সাথে, রাস্তা, উড়াল সেতু, আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড রেলের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। খেলোয়াড়দের আবাসন, ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের জন্য হোটেল-মেটেল, শপিংমল সবই চলছে একসাথে। কাজের চাহিদার তুলনায় এখানেও আদম বানিজ্যে জড়িতরা থেমে থাকেনী, তারা ফ্রি-ভিসার নামে বাংলাদেশী দালালদের মাধ্যমে হাজার হাজার যুবকদের এদেশে নিয়ে এসেছে যে প্রক্রিয়া এখনও চলছে দেদারসে।
বাংলাদেশ থেকে আগত বহু স্বপ্ন নিয়ে আসা যুবকরা নিদারুন কস্টের মাঝে দিনানিপাত করছে। একই ছবি গোটামধ্য প্রাচ্যসহ অনেক দেশেই দেখছি কিন্তু কোন প্রতিকার না থাকায় অসহায় মানুষগুলো নরকযন্ত্রনায় দিনানীপাত করছে। ছবি দিতে পারতাম কিন্ত সেটা অনেকের জন্য বেদনাদায়ক হবে বলে বিরত থাকছি।
বরাবরের মতই সনির্বন্ধ অনুরোধ থাকবে সবার কাছে, আপানারা যার যার অবস্থানে থেকে মানুষকে প্রবাসের কঠিন ও নির্মম বাস্তবতার কথা জানান। ৭ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ না করে দেশেই কিছু করার জন্য উৎসাহিত করুন; ঋণগ্রস্ত না হয়ে বরং নিজেকে কাজে লাগান। আপনি প্রবাসে যে কষ্টটা কাতারে এসে করবেন তার ৫০% পরিশ্রম করে দেশেই থাকুন পরিবারের সাথে; কাজকে সন্মান করে এগিয়ে যান। প্রবাসে এসে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলে সময়ের গর্তে ফেলে দেশে যখন ফিরে যাবেন তখন দেখবেন সবকিছুই হারিয়ে গেছে। ঝকমকে কাঠামো দেখে ভূল করবেন না এগুলো প্রায় ফাঁকা ই পড়ে আছে…. আগামীতে আবার লেখার আশারাখি অন্য দেশে বাংলাদেশীদের অবস্থান নিয়ে… ভাল থাকবেন সবাই এই প্রত্যাশায়..
কাজি তাজিম
দোহা, কাতার