মো.শাহাদাৎ হোসেন >>
দিনমজুর স্বামীর সংসারে ৩ সন্তান নিয়ে গৃহবধু রুবি বেগমের চরম দূর্ভোগে জীবন কাটছিল। ৫ সদস্যের পরিবারে আয়ের কোন সংস্থান না থাকায় এক পর্যায়ে ৩ ছেলে মেয়ের লেখাপড়াও অসম্ভব হয়ে পরে। ৫ সদস্যের পরিবারের গৃহ বধূ রুবি বেগমর কোন কাজের দক্ষতা ছিলনা যা দিয়ে সংসারের আয় বৃদ্বি করবে। তিনি ভাবতেন কি ভাবে সংসারের আয় বৃদ্ধি করে সংসারের স্বচ্ছলতা আনা যায়। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পেরে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা “ডাক দিয়ে যাই” এ যোগাযোগ করলে উজ্জীবিত প্রকল্পের আওতায় ১ মাসের সেলাই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে যান। প্রশিক্ষণ শেষে উন্নয়ন সংস্থা থেকে ১ টি বিনামূল্যে সেলাই মেশিন পান রুবি বেগম ।
রুবি বেগম বলেন, এই সেলাই মেশিন পাওয়ার পর ভাগ্য বদলে যায়। সেলাইয়ের কাজ করে বর্তমানে মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা তার আয় হয় । দিনমজুর স্বামীর অয়ের পাশাপাশি তার এই আয় দিয়ে সংসার যেমন বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়েছে । সেই সাথে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়াসহ ভালো মন্দ খাবারের সংস্থান হয়েছে। সে ভবিষৎতের জন্য এখন নিয়মিতভাবে সঞ্চয় করছেন।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সাপলেজা ইউনিয়নে চড়কগাছিয়া গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধু রুবি বেগমের বেঁচে থাকার অবলম্বন একটি সেলাই মেশিন এখন তার জীবন বদলের হাতিয়ার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিকেএসএফ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক ও উজ্জীবিত প্রকল্পের সন্বয়কারী ড. এ কে এম নূরুজ্জামান বলেন, “ সারা বাংলাদেশে রুবিনার মত প্রায় ১৫ হাজার অতিদরিদ্র নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। দারিদ্র বিমোচনে সেলাইয়ের কাজ একটি পরিক্ষীত উপায়”।