ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - জনস্বাস্থ্য - কামরাঙ্গা বন্ধু নাকি শত্রু ?

কামরাঙ্গা বন্ধু নাকি শত্রু ?

মো: রাসেল সবুজ:বিশেষ আকার আর স্বাদের জন্য অনেকের পছন্দের ফল কামরাঙ্গা।গ্রামের অনেক বাড়ির আনাচে কানাচে দেখা যায় কামরাঙ্গা গাছ। সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশেও।কামরাঙ্গা পাকার পর পরই খেতে সবচেয়ে ভাল।ফল পাকার ঠিক আগেই পাড়া হয় এবং ঘরে রাখলে হলুদ রঙ ধরে।যদিও এতে মিষ্টতা বাড়েনা।বরং বেশি পেকে গেলে এর স্বাদ নষ্ট হয়েযায়।পাকা কামরাঙ্গা রান্নাকরেও খাওয়া হয়।দক্ষিণ এশিয়াতে আপেল ও চিনি দিয়ে রান্না করার চল আছে।চীনে মাছ দিয়ে রান্না করা হয়।অস্ট্রেলিয়াতে সবজি হিসেবে রান্না করা হয়, আচার বানানো হয়।জ্যামাইকাতে কামরাঙ্গা শুকিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। হাওয়াই ও ভারতে কামরাঙ্গার রস দিয়ে শরবত বানানো হয়।

কামরাঙ্গায় রয়েছে এলজিক এসিড, যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়।কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে।এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত সর্দিকাশি সহজেই ভালো হয়।এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী। ২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়।

অপরদিকে এই ফলের রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও।কামরাঙ্গা একটি অক্সালেট সমৃদ্ধ ফল, যা যে কারো কিডনী ফেইলিয়র ও স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গমনের কারণ হতে পারে। বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালেও প্রমাণসহ এই ধরনের ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়।কামরাঙ্গা খাওয়ার পর এই ধরনের স্বল্প পরিমাণ প্রস্রাব নির্গমনের সমস্যা দেখা দিলে একজন কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনী রোগের ঝুকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনীজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙ্গা ফল না খাওয়াই উত্তম।কারন এরফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাই কামরাঙ্গা খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

Leave a Reply

x

Check Also

ভাণ্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি স্বাস্থ্যসম্মত গ্রাম ঘোষণা

ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামকে স্বাস্থ্যসম্মত গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। উন্নয়ন ...