ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বৌ পাল্টাপাল্টির খেলা হয় ভারতের নৌবাহিনীতে!

বৌ পাল্টাপাল্টির খেলা হয় ভারতের নৌবাহিনীতে!

আজকের মঠবাড়িয়া ডেস্কঃ ভারতীয় নৌ কর্মকর্তাদের স্ত্রী অদলবদলের মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।এক নেভি অফিসারের স্ত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল সরকারকে এসআইটি (স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম) গঠন করে তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।

২০১৩ সালে এই অভিযোগ জানান ওই মহিলা।বিয়ের একবছর পর ২০১৩র ৪ এপ্রিল ওই অফিসারের স্ত্রী তাঁর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেন।শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁর ওপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।তাঁর আরও অভিযোগ, পাঁচ নৌ কর্মকর্তা ও তাঁদের একজনের স্ত্রী তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে।নৌ কর্মকর্তারা স্ত্রী অদলবদল বা ওয়াইফ সোয়্যাপও করেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

আদালতকে তরুণী জানিয়েছেন‚ স্বামীর কর্মস্থানে নিয়মিত বৌ পাল্টাপাল্টি বা Wife-Swapping পার্টি হতো।তিনি এক নারীর সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিজনক অশ্লীল অবস্থায় দেখে ফেলেন।ওই নারী ছিলেন স্বামীর সহকর্মী‚ এক নৌ কর্মকর্তার স্ত্রী।

এরপর তার স্বামী তাকেও জোর করেন‚ ওয়াইফ সোয়্যাপিং পার্টিতে যেতে এবং বৌ বদলানোর খেলায় অংশ নিতে।কিন্তু স্বামীর এ কথায় রাজি হননি তরুণী।আর তাই স্বামীর উসকানিতে তার চার সহকর্মী তাকে গণধর্ষণ করে।আর মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে উন্মাদিনী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন স্বামী।

তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্বামী বিয়ের পর থেকেই তাঁকে জোর করে ওয়াইফ সোয়্যাপিং পার্টিতে অংশ নেওয়ার জন্য জোর করত।এসব পার্টির আমন্ত্রণপত্রও আদালতে দাখিল করেছেন ওই মহিলা।তিনি এই কাজে রাজি না হওয়ায় তাঁর স্বামী তাঁর ওপর অত্যাচার করত বলেও তাঁর অভিযোগ।স্বামীর সহকর্মী ও সিনিয়র অফিসাররা তাঁকে যৌন হেনস্তা করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

এই নির্মম অভিজ্ঞতা নিয়ে সেই তরুণী প্রথমে কোচি বন্দর পুলিশের কাছে যান।তারপর নৌবাহিনীর প্রধাননের কাছে।কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।কোথাও তার কথা শোনা হয়নি।শেষে তার অভিযোগ পৌঁছায় প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরে।তখন টনক নড়ে সরকারের।তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে।দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে কেরল পুলিশকে।বিশেষ তদন্ত দল করে এই মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে এবং সেটিও তিন মাসের মধ্যে। যদিও তরুণী আবেদন করেছিলেন এই মামলার তদন্ত করুক সিবিআই।কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর ও বিচারপতি আর ভানুমতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তার তদন্ত পুলিশই ভালোভাবে করতে পারবে।গঠন করতে হবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম।

এখন প্রশ্ন উঠছে, যাদের হাতে দেশের উপকূল রক্ষার ভার‚ তারাই কিনা নিজেদের সহকর্মীর স্ত্রীকে নিয়ে এসব খেলা খেলেন?

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ার তেঁতুলতলা বাজার খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া দধিভাঙ্গা-বড়হারজি-মঠবাড়িয়া খালের তেতুলতলা বাজার সংলগ্ন খাল দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে ...