আজকের মঠবাড়িয়া ডেক্সঃ কালীগঞ্জ উপজেলার মলি্লকপুরে আকার সংকুচিত হয়ে পড়া বট গাছটির দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে বন মন্ত্রণালয়।ঝিনাইদহের তথ্যবাতায়নে এশিয়ার বৃহত্তম বলে দাবি করা এই গাছের উন্নয়নে সরকার ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে।যশোর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহুরুল আলম বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা প্রকল্পের আওতায় মলি্লকপুরের বৃহত্তম এ বটগাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে বন মন্ত্রণালয়।এজন্য পাশের জমি হুকুম দখল করে আয়তন বাড়িয়ে ৩ একরের বেশি করা হয়েছে।
তার আশা গাছটি আবার আগের অবয়বে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।মলি্লকপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বট গাছটির বয়স কত তা আশপাশের গ্রামের লোকজন বলতে পারে না।তিনি মুরব্বীদের কাছে শুনেছেন ৩শ বছরের বেশি হবে।যে স্থানে মূল বট গাছের শুরু ঐ স্থানের আশপাশে কুমার সম্প্রদায়ে বাস ছিল।সেনদের জায়গায় একটি পাতকুয়া ছিল। কোনো পাখি হয়তো কুয়ার উপর বটের বীজ এনে ফেলে।সে বীজ থেকে চারা গজায়।জায়গাটি ছিল জঙ্গলাকীর্ণ।আস্তে আস্তে বেড়ে উঠে বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে ফেলে গাছটি।বাড়তে বাড়তে এক সময় প্রায় দুই একর জায়গা দখল করে নেয় সেটি।পরিচিতি পায় এশিয়ার সর্ববৃহৎ বটগাছ হিসাবে।হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গাছের গোড়াতে পূজা অর্চনা শুরু করে।লোকসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বটগাছ এলাকায় নির্জনতা থাকে না।গাছের বৃদ্ধি ঘটে প্রোপরুট বা বোয়ার উপর ভর করে।লোকে অত্যাচার শুরু করে।গাছ থেকে নেমে আসা ঝুরি ও বোয়া কেটে ফেলতে থাকে। আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, এ গাছের পাতা এত ঘন ছিল, নিচে সূর্যের আলো পৌঁছত না।বোয়ার সংখ্যা কমতে থাকায় গাছের আয়তন কমে যায়।মূল গাছ মরে গেছে।মাঝের অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে।গাছের পূর্ব পাশ ভালো থাকলেও পশ্চিম পাশ ফাঁকা হয়ে গেছে।একাংশের গাছ মরে গেছে।দুর্বৃত্তরা ডালও কেটেছে।দেখাশোনার কেউ নেই।বেশ কয়েক বছর আগে সরকার গাছের পাশে পর্যটকদের থাকার জন্য একটি রেস্ট হাউজ বানিয়ে দেয়।সেটির দরজা জানালা লুট হয়ে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গাছটি দেখার জন্য প্রতিদিন অনেক লোক আসেন।কিন্তু বর্তমানের দৈন্যদশা দেখে সবাই হতাশ হন।