ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - ভিন্ন স্বাদের খবর - মঠবাড়িয়ার মানুষ ভুলতে বসেছে কুপির (ল্যামের) স্মৃতি।বাড়ছে বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তির ব্যবহার

মঠবাড়িয়ার মানুষ ভুলতে বসেছে কুপির (ল্যামের) স্মৃতি।বাড়ছে বিদ্যুৎ এবং সৌরশক্তির ব্যবহার

মোঃ রাসেল সবুজ: গ্রাম বাংলার প্রতি গৃহের অতি প্রয়োজনীয় কুপি আজ বিলীন হওয়ার পথে।গ্রামের অমাবশ্যার রাতে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে মানুষের পথচলার স্মৃতি এখনো সৃষ্টিশীল মানুষদের শিহরিত করে।গ্রাম বাংলার কুপিবাতি বা কুপি এখন অনেক মানুষের মনে শুধু স্মৃতি হয়েই আছে।কেউ আবার ভুলতে বসেছে সেই স্মৃতিও।একটা সময় ছিলো যখন বাহারি ধরনের কুপিই ছিল মানুষের অন্ধকার নিবারনের এক মাত্র অবলম্বন।কিন্তু কালের গহ্বরে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্প, চার্জার,হ্যারিকেনসহ আরো অনেক কিছুই।ফলে ক্রমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় এই নিদর্শনটিও।অনুসন্ধানে যানা গেছে, একটা সময় ছিলো যখন গ্রাম বাংলার অপামর জনসাধারনের অন্ধকারে আলোক বর্তিতার কাজ করত কুপি।এই কুপিগুলোও ছিলো বাহারি ডিজাউনের ও রংয়ের।কোনটি ছিলো মাটির,কোনটি লোহার,কোনটি কাঁচের আবার কোনটি ছিল পিতলের তৈরি।বাজারে সাধারণত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত ছোট বড়।কুপির হাতে বেশি আলো পাওয়ার জন্য ছোট কুপিগুলোর জন্য কাঠ,মাটি বা কাঁচের তৈরি গছা (স্ট্যান্ড) ব্যবহার করা হতো। এই গাছগুলোও ছিলো বিভিন্ন ডিজাউনের।কিন্তু বর্তমানে গ্রাম বাংলায় বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপির কদর হারিয়ে গেছে।বিদ্যুৎ না থাকলে অবশিষ্ট সময় মানুষ ব্যবহার করেছে বিভিন্ন ধরনের চার্জার ও হ্যরিকেন। সৌখিন অনেক এখনও কুপি ব্যবহার করেছেন,আবার কেউ সযত্মনে এটি সংরক্ষন করেছেন আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় নিদর্শন হিসেবে।কুপির কদর ও ব্যবহার ক্রমে যে হারে লোপ পাচ্ছে এত করে নিকট ভবিষ্যতে কুপি বাতির স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না বলে মনে করেছেন বিজ্ঞজনেরা।

তাই নব প্রজন্মেকে অতীত ইতিহাস সঠিকভাবে জানানোর স্বার্থে কুপি বাতি গ্রামের ঐতিহ্যময় নিদর্শনগুলো সংরক্ষন করতে সংশিষ্ট কর্তপক্ষের আশু উদ্যোগ গ্রহন জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...