আমাদের মঠবাড়িয়া ডেক্সঃ ভূমি মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক আলহাজ¦ শামসুর রহমান শরীফ, এম.পি. এর বাল্যবন্ধু সাংবাদিক শহীদুল হক বকু গত মঙ্গলবার ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১.৩০ টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি.. রাজিউন)। ভূমিমন্ত্রী তাঁর প্রিয় বন্ধু শহীদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তিনি শোক প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে আমার সাথে আমার বন্ধু সাংবাদিক শহীদুল হক, ভিপি ফেরদৌস আহমেদসহ কয়েকজন রাষ্ট্রদোহী মামলায় গ্রেফতার হই এবং আমরা একসাথে কারাবরণ করি। এছাড়া আমরা একসাথে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কয়েকবার গ্রেফতার হই।
মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, আমার খুব ভালো বন্ধুদের মধ্যে বকু একজন। বকুর সারাটি জীবন সাংবাদিকতা করে কেটেছে। সাংবাদিক শহীদুল হক বকু রাশিয়ান কালচারাল সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘উদয়ন’, ‘যুববার্তা’, ‘সোভিয়েত সমীক্ষা’ এ তিনটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া তাঁর কর্মময় জীবনে ৬০ এর দশকে পূর্ব বাংলার (পাকিস্তান আমলে) বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় তিনি এডিটোরিয়াল শাখায় সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তর, দি ডেইলী অবজারভার, দৈনিক সংবাদে সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাবনা শহরের সাধুপাড়ায় জন্ম নেওয়া এই কৃতি সন্তান শহীদুল হকের কর্মজীবন ও ইহকাল ত্যাগ অনেকটা যেন নীরবে ও নিঃশব্দে ঘটে গেলো। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
গত ৯ মে মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ইবনে সিনা হাসপাতালে অসুস্থ শহীদুল হককে দেখতে যান। এসময় সেখানে ইবনে সিনা হাসপাতালের জিএম আনিসুজ্জামান, ডা. মাসুমা সুলতানা, মরহুমের স্ত্রীসহ হাসপাতালের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সুচিকিৎসা প্রদানের অনুরোধ জানান। পরে মন্ত্রী মরহুমের ঢাকার মোহাম্মদপুর আদাবর বাসায় লাশ দেখতে যান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মন্ত্রী তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।