ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - কাউখালীতে বাক প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমুল শিশুদের বর্ষবরণ

কাউখালীতে বাক প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমুল শিশুদের বর্ষবরণ

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :মানুষ মানুষের জন্য। কথাগুলো কেবল গানে আর মুখরোচক শ্লোগানের মধ্যেই বেশীরভাগ সময় সীমাবদ্ধ থাকে। কখনও কখনও সমাজের কিছু মানুষ তাদের কর্মকান্ডে এর যতার্থ প্রতিফলন ঘটাতে পারে। কেউ কেউ তাদের আর্থিক সঙ্গতি দিয়ে, অনেকে নিজ উদ্যোগে মানুষের জন্যে কোন না কোন অবদান রাখার চেষ্টা করেন। এমনই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজ সেবক কাউখালীর আ. লতিফ খসরু। আজকের এই দিনে, আমরা যখন পান্তা ইলিশ নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে মানুষ মানুষের জন্য এ ব্রত নিয়ে বর্ষবরণ উপলক্ষে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আমরাজুড়ী আবাসনে বসবাসরত প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমুল শিশুদের নিয়ে প্রতিবন্ধী স্কুলের উদ্যোগে সন্ধ্যা নদীর জেগে ওঠা চরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আর এই অনুষ্টানের আয়জোগ সামাজিক উদ্যোক্তা আ. লতিফ খসরু। দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমুল শিশুদের মিষ্টি ও ফল দিয়ে আপ্যায়ন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশুদের মধ্যে খেলনা সামগ্রি বিতরন ও কালের বিবর্তনে আর আধুনিক খেলার ভিরে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা। বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ও ছিন্নমুল শিশুরা এ খেলায় অংশ নেয়। খেলা এক এক গোলে ড্র হয়। পুরস্কার হিসাবে প্রত্যেক শিশুদের মধ্যে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরন করা হয়। পরে ছিন্নমুল শিশু ও বাকপ্রতিবন্ধীরা শিশুরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে শিশুরা নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। এ খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন সকাল থেকে সমাগত হতে থাকে। উপজেলার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংস্কৃতিকজন সুব্রত রায় বলেন, খসরুর এ উদ্যোগের কথা শুনেছি। তিনি যে উদ্যোগ নিয়াছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় যা আমাদের অনেকের জন্য অনুকরনীয়। প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমুল শিশুরা আামদের সমাজের একটি অংশ। তারা খেলাধূলা ও বিনোদনের মধ্যে বাঁচতে চায়। তারা সুযোগ পেলে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী আঃ লতিফ খসরু বলেন, কোন কিছু চাওয়া ও পাওয়ার জন্য আমি এ উদ্যোগ নেইনি। মানুষ হিসাবে এক দায়বোধ থেকে ওদের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে একটু আনন্দ দিতে এ কাজটি করেছি। আসুন আমরা সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে ওদের জন্য একটু সময় দেই। দাঁড়াই ওদের পাশে। চার বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানের মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, মোরা গরীব মানুষ। মোগো নুন আনতে পান্তা ফুড়ায়। মোগো আবার কিসের দিবস। মোগো এইহানের মাইয়া পোলাগো কেউ জিগায় না। আইজগো মোগো এইহানে খসরু ভাই আইয়া মোগো মাইয়া পোলাগো লইয়া হারাদিন ফুর্তি হরছে। হে ওগো খাওয়াইছে, খেলনা দেছে হেতে মোরা খুশি। এ সময় শিশুদের অভিভাবকগণ ও আবাসনের সভাপতি চান মিয়া ও সমাজ উদ্যোক্তা আঃ খসরু উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

x

Check Also

এফ-কমার্স ভিত্তিক মঠবাড়িয়া ই-বাজারের সাফল্যগাথা

মঠবাড়িয়া ই-বাজার, একটি এফ কমার্স বা অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম। আর অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসার নতুন ধারণাকেই ...