খালিদ আবু >>
কয়েকদিনের অব্যাহত শৈতপ্রবাহের কারণে পিরোজপুরের পানের বরজগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অব্যাহত শৈতপ্রবাহ এবং প্রচন্ড শীতের কারণে পানপাতা হলদে হয়ে ঝড়ে পড়ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন জেলার পান চাষীরা। চলতি বছর পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলার ৭ শত ০৬ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। শৈত প্রবাহের কারণে বর্তমানে পান গাছের বোটা নরম হয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। প্রতিটি পানের বরজে পান গাছে শুধু লতাই দেখা যায়, লতার সাথে নেই কোন পানপাতা। পান চাষীরা ধারনা করছেন এ বছর তাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হবে।
পান চাষী তরুন কান্তি দে জানান, শীতের সময় প্রতি বছর আমারা পানের বরজে পলিথিন দিয়ে ঘেরা দিয়ে রাখি, কিন্তু এ বছর শীত ও কুয়াশা বেশি হবার কারনে পান পাতা ঝড়ে গিয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। যে ক্ষতি আমরা আগামী কয়েক বছরে পুশিয়ে উঠতে পারব না।
কদমতলা ইউনিয়নের পান চাষী হেমন্ত লাল পাল জানান, এ বছর কুয়াশা এবং শীতের কারনে আমাদের বরজের পান লতা থেকে ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে। ঝড়া পান বাজারে নিয়ে গেলে আমার বাজার মূল্যের অর্ধেক দাম পাই না। বর্তমানে পানের বাজার মূল্য পোন প্রতি চলছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। কিন্তু ঝড়া পান বিক্রী করে আমরা অর্ধেক দাম পাই না। এখন পান বিক্রির সময় চলছে। এখন এ অবস্থা হবার কারনে এবছর আমাদের অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হবে।
পান চাষী শ্যাম লাল পাল জানান, কদমতলা ইউনিয়নে প্রায় ২০০ পরিবার পান চাষের সাথে জড়িত। এ বছর মাথাপিছু প্রায় দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। আমাদের সংসার কিভাবে চলবে আমরা জানি না। আমরা কৃষি অফিসের কোন সাহায্য পাচ্ছি না।
কৃষি প্রকৌশলী দিপঙ্কর চন্দ্র বালা জানান, আমারা পান চাষীদের শীতের সময় পলিথিন দিয়ে পানের বরজ ঢেকে ও চারপাশে বেড়া দিয়ে রাখতে বলি। কিন্তু এ বছর শীত বেশি থাকার কারনে পান পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষি অফিসের কিছু করার থাকে না।