ব্রেকিং নিউজ
Home - খোলা কলাম - আহ্নিক কড়চা

আহ্নিক কড়চা

অধ্যাপক হুমায়ূন কবীর হিরু – বিচার ও শিক্ষা নিয়ে ‘ছেলে-খেলা’ বন্ধ করা দরকার। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছে যে, রাষ্ট্রধর্ম সংক্রান্ত রীট আবেদনটি ‘মেইনটেইনাবল’ নয় বিধায় উচ্চ আদালত এক বাক্যে খারিজ করে নির্দেশ দিয়েছেন ‘রুল ইজ ডিসচার্জট’।
যে মামলার বয়স ২৮ বছর এবং তিনবার আদালত কর্তৃক রুল জারী করা হয়েছে, এমিকাস কিউরী নিয়োগের আদেশ দান করা হয়েছে, আবার এমিকাস কিউরী নিয়োগের আদেশটি পরবর্তী আদেশ দ্বারা প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেই মামলা ২৮ বছর পরে ‘মেইনটেইনাবল’ হয় না কিভাবে? সাধারণ বিচারে মামলা গ্রহণযোগ্য কি না- তা তো প্রথম দিনেই সাব্যস্ত হয় এবং বিচারের কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এখানেও প্রথম দিনে মামলা গ্রহণ করে বিচারের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। অবশেষে শুনানী না করেই আকস্মিক ভাবে খারিজ করার প্রশ্ন জেগেছে, আদালত কি ভিন্ন কোন কারণে মামলাটি খারিজ করলো? বিচার নিয়ে এ-টা ছেলে-খেলার মত হলো না কি? আদালতের প্রতি গণআস্থা সৃষ্টির প্রয়োজনেই বিচার সংক্রান্ত ছেলে-খেলা পরিহার করা জরুরী।

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভা ২৮ মার্চ সোমবার উচ্চ শিক্ষার মান নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘এক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ গঠনের আইনের খসড়া অনুমোদন করেছেন। কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১১ জনের মধ্যে তিনজনই থাকবেন ব্যবসায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশনের সভাপতি বা প্রতিনিধি যিনি অবশ্যই একজন শিক্ষা-ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের চেম্বারের একজন শিল্প-উদ্যোক্তা, যিনিও ব্যবসায়ী বটে এবং আর এজন থাকবেন পেশাজীবী সমিতির প্রতিনিধি। চেয়ারম্যান থাকবেন একজন সরকারী ব্যক্তি। তাহলে প্রতিভাত হয় যে, উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত ‘এক্রেডিটেশন ও কনফিডেন্স’ প্রদাণের দায়িত্ব বর্তানো হলো ব্যবসায়ীদের উপর। ১১ জন সদস্যের সব কজনই হওয়া উচিৎ শিক্ষাবিদ কিংবা শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞজন। ব্যবসায়ীরা যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, তাহলে শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য আরও জোরদার হবে। শিক্ষা নিয়ে গত ৪৫ বছরে যে ছেলে-খেলা চলছে, বর্তমানে ‘পাশের হার’ বাড়ানোর সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় যে উলঙ্গ প্রতিযোগিতা চলছে, তা আরও জোরদার ও বিস্তৃত হবে। তাই, শিক্ষা নিয়ে ছেলে-খেলা জাতীয় স্বার্থে অবিলম্বে বন্ধ করা আবশ্যক।

(লেখক- সাবেক সংসদ সদস্য, সমাজবিপ্লবীকামী রাজনীতিক, ভূতর্পূর্ব অধ্যপক হাবিবুল্লাহ বাহর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা)

Leave a Reply

x

Check Also

প্রতিবেশীর যখন করোনা পজিটিভ

মঠবাড়িয়ায় করোনা এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। তাই আমাদের অতিরিক্ত সাবধানতা ...