রাজনীতি
🌿
মুখে রাজনীতি নয়
হাতে রাজনীতি নয়
পায়ে রাজনীতি নয়
মনে রাজনীতি করো।
চরিত্রের উপর অভিনয়ের
ছাপ দিয়ো না।
মুখোশ পড়ে ভালোবাসি বলো না,
ভালো মানুষ সেজোনা।
অসৎ কে সৎ করোনা।
আর সৎ কে অসৎ করোনা।
নেতা হতে হলে আগে
রাজ পথে রক্ত ঝড়াও
আগে রক্তাক্ত হয়ে ক্ষত
আঁকো তোমার শরীরে।
তারপর বডিগার্ড রাখো।
আগে মাটির রাস্তায় হাঁটো
তারপর পিচঢালা রাস্তায়
পা রাখো।সম্মান দিয়ে
সম্মান নিতে শিখো।
খেয়ে উপবাসি হয়ো না।
পেট কে মোটা করলে
সুন্দর চেহারা হলে রাজনীতি
করা যায় না,দরকার যোগ্যতা।
দারুন মনুষ্যত্ব চেহারার
অভাবকে দূর করো।
মানুষের প্রেম ও বিলাসী হও।
তোমার বাগিচায় জনতার জন্য গোলাপ ফুল ফোটাও।
দেখবে এমনি নেতা হবে।
তবে এ জগৎ সমাজের আংশিক লোক
টাকাকে নেতা মানে মনুষ্যত্ব বা বিবেককে না।
তাদের এরিয়ে চলো।
গোটা জগৎ সমাজের
ভালো মানুষের সাথে এক
হয়ে উন্নয়নে অগ্রদূত হও।
🌿
ক্রাশ
কত বার ক্রাশ খেয়েছি জীবনে কত মানুষ দেখে,
আজও ক্রাশ খেলাম তাকে দেখে।
তার চোখে রজনীগন্ধার সুভাস।
তার মনে দার্জিলিংয়ের সুউচ্চ পাহাড়ের সুদীপ্ত দীর্ঘ ভালোবাসা।
মন ভরে গেলো,চোখ ভরে গেলো ক্লান্তিহীন হয়ে
জীবন সংগ্রামের শুভ ময় সূচনা।
আজ সৌর রশ্মি আর মৃদু শীতের স্নিগ্ধতায় আমি উল্লাস।
আমি ত্রাস,আমি পরিপূর্ণ।
আমি দীর্ঘদিনের দীর্ঘ নিঃশ্বাস।
কত দিন হারিয়েছি আজও হারিয়েছি।
আজ বিলীন বিলুপ্ত হয়েছি তাহার নিঃশ্বাস পাঁজরের কোঠরে।
আজ আমি বিস্মিত অবিচ্ছেদ্য নই।
সুপ্ত অনন্ত থেকে পূর্ণ উদ্ধার ভালো লাগার আরাধনা।
ক্রাশের ছন্দ নাটিকায় আমি প্রধান চরিত্রের অভিনীত অভিনেত্রী।
আর সে অভিযোগী অভিনেতা।
যেখানে হিমালয়ের তাজ্জব দৃষ্টির মতোন আমার অভিনয়।
🌿
দেয়াল
শত বছরের পুরনো তুমি হে দেয়াল।
তুমি নতুন থেকে পুরানো হতে
লক্ষ কোটি স্বাক্ষী।দেয়াল
তোমায় আকারে ধরে আরালে
প্রকাশ,অপ্রকাশিত মানুষের ভাষা।
তুমি বাস্তব সাক্ষী নব বধূর মধুর
রাত আর শরীরের শিহরণ দানের।
তুমি কত হাজার বারের মৃত্যুর সাক্ষী।
তুমি নিঃসন্দেহে নিস্তব্ধ
রাতের অনির্দিষ্টকালের
অনিচ্ছাকৃত মধ্য বয়সী বিধবার স্বামী হারা যৌবনের কান্না।
দেয়াল তোমায় আকারে ধরে আড়ালে
বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়া মা হারা ছেলের উৎসব।
দেয়াল তুমি হাজার মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগের চিন্তিত চিহ্নিত।
দেয়াল তোমায় ঘিরে হাজার রক্তপাত।
দেয়াল তুমি নিশ্চুপ মনের বহ্নি শিখার বাস।
দেয়াল তুমি শতাব্দীর পুরানো তাই আমি গ্রাস।
মৃত্যুর খুনিদের শেষ শাস্তির নিশ্বাস তুমি।
তুমি অন্ধ তুমি সাজানো ফুলের পাঁপড়ি
শত বছরের লুকানো কবিতা।
তুমি প্রেম হারা রাহুলের বেঁচে থাকার সাফল্য ।
তুমি আমার জন্মানো ও হাজার মায়ের প্রসূতি ব্যাথার সাক্ষী।
দেয়াল তোমায় আকারে ধরে কত না কি।
তুমি রক্তাক্ত আল্পনা আঁকতে পারোনি
তোমার গায়ে, কিন্তু তুমি নীরবে নিভৃতে যতনে
সকল স্বাক্ষীর ক্ষতবিক্ষত লাশ হয়ে
দাড়িয়ে আছো শত বছরের প্রজন্মে।
🌿
দারুন
বাহ্ দারুন নিশ্চুপ তুমি
কি এত গভীরে ভাবছো?
হেরে গিয়েছো?
আমরা হারিনি হারিয়ে যাই নি।
আমরা নিদারুণ স্বাধীন জাতি।
আমাদের রক্তে স্বাধীন স্বাধীন ভাব,
আমাদের গাঁয়ে উদ্যমী চেতনা।
আর চেতনা ছিলো বলেই
আজ আমরা স্বাধীন বিলাসী।
আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে ছিলাম,
কয়েক টুকরো করেছিলাম
হাজার হাজার পশুদের।
বিলিয়ে দিয়েছিলাম মায়ের মমতা,
আর ছিন্নভিন্ন করে ছিলে
সাজানো ফুলের পাপড়ি।
পাশের বাড়ির দীপান্নিতার
মত কত লক্ষ দীপান্নিতা বস্ত্র হীন নিতম্ব দেখালো।
আর রক্তাক্ত হলো নববধূর সাজ।
কত প্রেম ছিলো অজয়ের
নিরুপমার প্রতি,
আর সেই নিরুপামাকে তুলে দিতে হলো
ইজ্জত হারাতে।
নিজের হাতেই বলি দিতে হলো
ভালোবাসার পরিতৃপ্ত আশা আকাঙ্ক্ষা।
অজয়ের মন মৃত, অজয় মৃত নয়।
অজয় আর অজয়ের মত লক্ষ লক্ষ অজয়,
যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
জয়ী হয়ে আবার সেই নিরুপমা
কে অজয় যজ্ঞে বসিয়েছে।
যজ্ঞ শেষে,
তার বাহু ডোরে তুলে বলিলো
ভুলে যাও আমি ভুলে গেছি
ওটা দুঃস্বপ্ন,আমি তো আছি।
দারুন জয়ী হয়েছি যুদ্ধে,
এ দেশ এখন আমাদের।
আমরা জয়ী এবং স্বাধীন জাতি।
অস্থির
আমার আলোকিত মন কে
পুলকিত করো।
জীবন ঝলসানো রুটি বানাতে
চাই না।
অস্থির কে স্থির করো
ধুপের গন্ধ ছরিয়ে।
আপনি কে আপন করো তুমি
কে তোমার।
পায়ে তোমার নুপুরের ছন্দ তোল
নিমজ্জিত শিশির মাখা মেঠো পথে।
আমি নৈস্বর্গিক স্বাচ্ছন্দ্য সুখ চাই না।
একটু খানি হাঁসির ফালি চাই,
মূল্য বিহীন।
জীবন কচুপাতায় পরা এক ফোঁটা শিশির।
রাজকন্যা নয় রাজকীয় ভাব পরিত্যাগ
করো,শুধু ভালোবাসো নিথর আস্ত দেহখানি।
কোথায় হারিয়ে যায় উত্তর ঘাটের জল
নতুন আসে উত্তরিনী।
রঙিন নয় বলে বোঝা বড় দায়।
তোমার নিন্দনীয় দেহ তল্লাশি করি
না পেয়ে অস্ত্র,দেইনি মামলা
ওই মামলায় সাক্ষী তোমার চক্ষুশূল আকাশ
বাতাস নিস্তব্ধ ধ্রুব তারা।
সত্যের কাহিনী অর্পণ করে দ্বারের
দরজায় মারো খিল।
সাধন করে সাধক হবে ভাবিনি তোমায়
ব্যাথায় ভরিবে মরুভূমি।
🌿
সে রাত
আমি ছিলাম আধেক ও ঘুমে
শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি।
ঝড়া শিউলির উপচে পড়া গন্ধ।
মায়ের খানিকটা বাম পাঁজরেরবব্যাথ।
তবে এ ব্যথা নতুন নয়,
পুরানো বৈকি।
শহরের স্যুট প্যান্ট পড়া বড় বড়
সার্টিফিকেটধারি নামি গুণি
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার স্বাদ ছিলো,
সামর্থ্য ছিলোনা।
ছিলো পৃথিবীর কাছে হেরে যাওয়া
বাবার সান্ত্বনা মায়ের মহাওষুধ।
অভাবের তাড়নায় আমার ভালোবাসার
পাগলী মা সব মুখ বুজে সহ্য করতো।
আর ফিসফিস করে আমারে বলতো
আমি মরে গেলে তোর বাবাকে দেখিস।
বাবার চিৎকার শুনতে পেলাম সে রাতে…..।
কাছে গিয়ে দেখি মা স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে,
আর আমি বলতে লাগলাম
মা ও মা আজ তোমার কাছে ঘুমাতে দাও,
প্রতিদিন তোমার কোলে মাথা না রাখলে মনে হয়
আমার অর্ধেক আয়ু কমে যায়।
এমন কথা শুনে বাবা বলে,
তোর মা যে সব আয়ু কমিয়ে দিলো।
আমি বাবার কথা শুনে মায়ের বুকে
মাথা রেখে দেখি মায়ের
হৃৎপিন্ডের ধব ধব শব্দ স্থির।
তখন মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
মায়ের সাথে কোন শত্রুতা থাকে
না তবুও না বলে চলে গেলা।
বাবার মুখ বিমর্ষ।
মুখ অগ্নি আর পিন্ড দান সে তো
দ্বারের ভিক্ষার সমতুল্য।
🌿
সম্পদ
আমি তোমার সম্পত্তি নই,
আমি তোমার সম্পদ।
তুমি একটু ভেবেই দেখো না।
আমি তোমার চক্ষুশূল নই,
আমি তোমার ভালোবাসা।
গভীর অনুভূতির আশ্রয়।
দু নয়নে তাকিয়ে আমার
ভালোবাসা উত্তরসূরী হয়ে
আপনা আপনি পূর্বাঅঞ্চলে পা রেখে ছিলে।
তাই আমি তোমার সম্পদ।
আমায় বুঝি তুমি ভাগ করতে পারবে না!
বহুদূর কাঁদবে তোমার হৃদয়।
সমূদ্রের ঢেউয়ের মত ভারাক্রান্ত
উৎফুল্ল হবে তোমার মন।
মরে যাবো পঁচে যাবো
স্মৃতিরা তারা দিবে তোমার মনের মাঝে।
কয়েক জন্ম আগে ও সম্পদ
ছিলাম তোমার অনন্দ রুপে।
আজ আছি মানুষ রুপে।
তোমার নীলাঞ্জনা হয়ে।