ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - আমার সাংবাদিকতা জ্ঞান স্পর্ধা প্রদর্শন ও ক্ষমা প্রার্থনা

আমার সাংবাদিকতা জ্ঞান স্পর্ধা প্রদর্শন ও ক্ষমা প্রার্থনা

২০০০ সালের জানুয়ারি মাস। ভোর পাঁচটা বেজে চুয়াল্লিশ। একটা মাঝারি সাইজের রুমে সিঙ্গল খাটে আয়েসের সাথে গায়ে লেপ জড়িয়ে সুবহি সাদিকের ঘুমটা উপভোগ করছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। খাটের ডান পাশে তার পড়ার টেবিলে ক্লাসের বইয়ের চেয়ে মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা আর বিভিন্ন রকমের ওয়েস্টার্ন থ্রিলার কাহিনীর বই আর রাজ্যের কমিক্স এর দৌরত্বই বেশী। টেবিলে রাখা বইয়ের সবচেয়ে উঁচু সারিতে হলুদ রং এর একটা ছোট্ট অ্যালার্ম ঘড়ি রাখা। মিনিটের কাঁটাটি নয় বরাবর আসতেই ছোট্ট ঘড়িটি ভোর বেলার নিস্তব্ধতাকে ভেঙে দিয়ে কড় কড় করে উঠলো। ডান দিক থেকে বাম দিকে ফিরে শুলো কিশোর। কিন্তু তাতে হলদে ঘড়ি কড়কড়ানি না থামিয়ে কিশোরের ঘুম ভাঙিয়ে দিলো। চোখ না মেলে থাবা মেরে চুপ করিয়ে দেবে ওকে। ভাবলো কিশোর। মশারির ভিভর থেকে হাত বের করে অ্যালার্ম বন্ধ করতে গিয়ে দেখল ঘড়ি একটু দূরে আর উঁচুতে রাখা। বন্ধ করতে হলে খাট ছেড়ে লেপ ছেড়ে বের হতে হবে। আর ততক্ষণে তার ঘুম ভেঙে যাবে, পেসাব চাপবে। এটা সে আগে থেকেই জানে। আর তাই ইচ্ছে করেই শোয়ার সময় ঘড়িটা দূরে আর উঁচুতে রেখেছে। তার মনে পরে গেলো আজ মঙ্গলবার। তাই বছরের শুরুতে পড়াশুনার চাপ না থাকা সত্বেও পৌনে ছয়টায় উঠছে। মঙ্গলবার এই কিশোরটির জন্য অনন্দের দিন। ছয়টা সোয়া ছয়টার দিকে ঢাকা থেকে বাস আসবে। আর সেই বাসে আসবে ঝকঝকে তকতকে অপসেট কাগজে নতুন প্রিন্ট করা সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক মঠবাড়িয়া সমাচার’।শীতে টুকটুক করতে করতে ব্রাসে পেস্ট লাগিয়ে মুখ ঢুকিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরলো কিশোর। বের হবার আগে তোষকের নিচ থেকে বের করে নিলো গত রাতে বাবার পকেট থেকে চুরি করা একটা দশটাকার নোট। বাসের হেলপারকে বকশিস দিতে হবে। বাসের লাগেজ বক্স থেকে পেপার গুলো নিয়ে বাসায় চলে এলো। নয়টায় যখন মঠবাড়িয়া সমাচারের অফিস খুলবে তখন পেপার গুলো অফিসে নিয়ে যাবে। অফিসে নিয়ে স্থানীয় বাজারে সুশীল হালদারের দোকান আর বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে দেয়ার জন্য ভাগ করবে। সঙ্গে থাকবেন মঠবাড়িয়া সমাচারের সহ সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিপন। আর কিশোরটি আসলে মঠবাড়িয়া সমাচারের পিয়ন কিংবা হকার নয়। কিশোরটি স্থানীয় স্কুলের নিউ টেনের ছাত্র এবং এই পত্রিকার শিক্ষানবিশ রিপোর্টার। কিশোরটি চায় এই পত্রিকাটি চলুক। বন্ধ না হোক। কিন্তু এই কাজগুলো করা ও বুধবার স্থানীয় বাজারে বিক্রির লোক না থাকায় সহ সম্পাদক ভাবছে কাজ ছেড়ে দেবেন। সে কাজ ছেড়ে দিলে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যাবে। যা এই কিশোরটি একদমই চায় না। তাই স্ব ইচ্ছায় সে এই কাজ গুলো করছে পাশাপাশি সে বুধবার বাজারের দিন বাজারে বাজরে ঘুরে “এই মঠবাড়িয়া সমাচার, মঠবাড়িয়া সমাচার – এই সপ্তাহের নতুন খবর” বলে বিক্রিও করে।
কে সেই কিশোর?
তার নাম সাইফুল বাতেন টিটো। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। সেই কিশোর ছেলেটিই আমি। পত্রিকা ও সাংবাদিকতা আমার ভীষণ পছন্দের ও আগ্রহের।
একটি আট (কখনও ছয়, কখনও চার) পৃষ্ঠার অফসেট কাগজের ট্যাবলয়েড সাইযের চেয়ে একটু বড় সবুজ ও সাদা কালারের পত্রিকাটির দাম ছিলো মাত্র তিন টাকা। বেশ বিক্রী হতো। সবার সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় অনেককে হাসতে হাসতে গছিয়ে দিতে পারতাম। মঠবাড়িয়া সমাচারে ঐ সময়ে পত্রিকার কর্মী, রিপোর্টার, সম্পাদক, কন্ট্রিউটর সব ছিলাম তখন আমরা দুজনই। অারো হয়তো কেউ ছিলেন, তবে আমি জানতাম না বা দেখিওনি। হাফিজ ভাই আর আমি বসে বসে সাদা কাগজের একপাশে লাইনের মাঝ খানে ফাঁকা রেখে নিউজগুলো রেডি করতাম। হাতে লেখা ছাড়া তখনও কোন উপায় ছিলো না। সাংবাদিকতার টুল বলতে ছিলো একটা ইয়াসাকি ক্যামেরা। আমরা নিউজ রেডি করে পাঠাতাম ঢাকায় মিজানুর রহমান তসলিম সাহেবের প্রেসে। মূলত উনিই ছিলেন পত্রিকাটির মালিক, প্রকাশক ও সম্পাদক। পত্রিকা থেকে আয় তো দূরেরর কথা প্রতিমাসে বেশ কয়েক হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হতো তসলিম ভাইকে। উনি শিল্পী মানুষ। সেবার মানসিকতা ওনার রক্তেই ছিলো। আর তাই প্রতি মাসে লস দিয়ে হলেও উনি পত্রিকাটি চালাতেন। এমনকি উনি সসম্ভবত হাফিজ ভাইকে সামান্য হলেও বেতনও দিতেন। ল্যাপপট্টির শেষ মাথায় খালের কাছাকাছি হালিম ডাক্তারের বাসার নিচ তলার একটা রুম ছিলো ‘মঠবাড়িয়া সসমাচারে’র অফিস। মজার বিষয় হচ্ছে মিজনুর রহমান তসলিম সাহেবের সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি এবং আমি ১০০% নিশ্চিৎ যে উনি জানেনই না যে আমি একসময় ওনার পত্রিকায় কাজ করতাম।
যাই হোক পেপার বিক্রির টাকা আর টুকটাক দুয়েকটা বিজ্ঞাপনের যে টাকা পেতাম সেই টাকা চলে যেত আমাদের সংবাদ সংগ্রহ, ফিল্ম কেনা, রিক্সা ভাড়া ইত্যাদি কাজে। তবে হাফিজ ভাই মাঝে মধ্যে আমাকে ৫০/১০০ টাকা দিতেন। নিজে বাসা থেকে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হেঁটে আসতেন। হফিজ ভাই খুবই নরম স্বভাবের ছোটখাট নির্বিবাদী মানুষ ছিলেন। উনি যেমন ভালো বক্তা ছিলেন তেমনি ছিলেন মনযোগী শ্রোতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছেন। তখন থেকেই ওনার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি। কাজ করেছেন কাদির কল্লল, কুররাতুল আইন তাহমিনা, হাসান মাসুদ, সঞ্জিব চৌধুরীর মতো লিজেন্ড সাংবাদিকদের সাথে। ব্যাপক অভিজ্ঞতা তার। সেই সব শেয়ার করতেন আমার সাথে। উনি যতটুকুই জানতেন তা শেখাতে কার্পণ্য করতেন না। শিরোনাম কেমন হয়, নিউজের কোন অংশকে কি বলে, কোন নিউজ কত বড় হওয়া উচিৎ, সাব-এডিটরের কাজ কি তা উনি যতটুকু জানতেন আমাকে শেখানোর চেষ্টা করতেন। নিজের ছাত্রের বয়সি এক উৎসাহী কিশোরকে পেয়ে উনিও যেমন খুশি তেমনি কিশোরও খুশি।
তখন মঠবাড়িয়ায় অন্যান্য সাংবাদিক বলতে ছিলেন জনাব গোলাম ফারুক বাচ্চু, জনাব আব্দুস সালাম আজাদী, মিজানুর রহমান মিজু, দেবদাস মজুমদার প্রমুখ। তাঁরা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় দোর্দণ্ড প্রতাপে সাংবাদিকতা করতেন। তাঁদের সাথে আমার সংবাদপত্র সাংবাদিকতা নিয়ে কখনও কথা হয়নি। মাঝে মধ্যে নিউজ কুরিয়ার করতে যেতাম মিজু ভাইদের ওখানে। ব্যাস এই টুকুই। তাঁদের কেউ আমাকে দেখলে চিনতে পারবেন না আমি শিওর।
আমি সাংবাদিক হবো বা কখনও সাংবাদিকতা করবো তা কখনও ভাবিনি বা এখন সাংবাদিকতা করছিও না। এরকম বছর তিনেক পরে দুই হাজার তিনের মাঝামাঝি সময়ে আমি আইএ পাশ করে চলে এলাম ঢাকায়। হাফিজ ভাই বেশ কয়েকদিন আমাকে বুক পোস্টে পত্রিকা ঢাকা পর্যন্ত পাঠিয়ে ছিলেন। এক সময় খবর পেলাম উনি মঠবাড়িয়া সমাচার ছেড়ে দিয়েছেন। তখন এত মোবাইল ছিলো না। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেলো মঠবাড়িয়া সমাচার। এরপর আমি সরকারী একটা চাকরি করলাম বছর চারেক ঢাকার বাইরে। চাকরিতে থাকাকালীনও লিখতাম বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০০৭ থেকে শফিক রেহমানের তাগিদে যায়যায়দিন তথা মৌচাকে ঢিলে রেগুলার লেখা শুরু করলাম। তখন সান্নিধ্য পেলাম সাংবাদিক শফিক রেহমানের। ফোন করে করে আমাকে নিয়ে যেতেন। নিজের পাশে বসিয়ে বসিয়ে তিন রঙ-এর কলম নিয়ে ব্যবচ্ছেদ শুরু করতেন আমার লেখার। কি পেয়েছিলো বুড়ো আমার মধ্যে সেই জানে। রাজ্জের সব গল্প শুনতে শুনতে আমিও মাতাল হয়ে যেতাম। ইংল্যান্ডে তার কি এক বর্ণাঢ্য জীবন! যাই হোক লেখালিখি চালিয়ে যাচ্ছি ঠিকই কিন্তু তা মোটেই সাংবাদিকতা নয়। ছোট গল্প, ঢাউস গল্প, কলাম টাইপের লেখা ইত্যাদি। এই, এই পর্যন্তই আমার সাংবাদিকতার জ্ঞান বা দৌড়। এর বাইরে কিছু বইটই কিনে সেল্ফ স্টাডি করেছি বটে তবে তা স্রেফ কৌতুহল থেকে। আর বড় ভাইদের আব্দার রাখতে গিয়ে মাঝে মধ্যে ‘গ্রেটিস’ হয়ে সাংবাদিকতার ওয়ার্কশপ করা হয়েছে বেশ কয়েকটা। আমার গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো রেডিও। আব্বু বিবিসি, ভয়েস অফ অ্যামেরিকা, ডয়েচেভেলে ইত্যাদি শুনতেন। আমিও শুনতাম। বড় কোন বিষয় হলে তখন গ্রামের মুরুব্বিরা আসতেন সংবাদ শুনতে। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আমাদের বাসায় আব্বু টিভি কেনেননি। আব্বু বাড়িতে ডেইলি অবজার্ভার আর ইত্তেফাক রাখতেন যখন তখনো আমি পড়াশুনা শুরু করিনি। দুইতিন পরপর আসতো সেই পত্রিকা।
তাই আব্বুর পড়া হলে পত্রিকার উপরে বসে ছবি দেখতাম আমার মনে আছে। এখন ২৪ ঘন্টা থ্রি জি নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকি। আমি ঘুম থেকে উঠি ছয়টায়। তখন থেকে উঠে বাংলা ইংলিশ, দেশী বিদেশী আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ৫০ টার বেশী নিউজ পোর্টাল পড়ি। আমার মনেহয় যারা ইন্টারনেট ইউজ করে তার অনেকেই এটা করে। আমি ফেইসবুকে বেশ অ্যাকটিভ। ফেইসবুকে লেখালিখিও করি। সেখানে মিডিয়া রিলেটেড বন্ধু আছেন অনেকে। স্বনামধন্য সাংবাদিক রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আমি অনেক কিছুই শেয়ার করি। এর মধ্যে নিউজের পরিমাণই বেশি। মঠবাড়িয়ার কোন সেনসেটিভ নিউজ হলে সমাধানের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণের নিমিত্তে অনেককে ট্যাগও করি। ফলে মঠবাড়িয়ার বিভিন্ন অনলাইনের নিউজ গুলো অনেকেই দেখেন, পড়েন। তাঁদের নানা সময়ে নানা সংবাদ পড়ে আমাকে ভুল ত্রুটিগুলো দেখিয়েছেন। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে মঠবাড়িয়ায় বসে মানুষগুলো কষ্ট করছে ঠিকই কিন্তু সামান্য না জানা বা কম জানার কারণে মানুষ হাসাহাসি করছে। পৃথিবীতে ১০০% সঠিক বলে কিছু হয়না। সময়ের প্রবাহের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হয়। সাংবাদিকতা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং – এর মতো কোন টেকনিক্যাল ট্রেড না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পেশাটি কিন্তু আয়ত্বে আনা অসম্ভব নয়। আর তার একমাত্র ওয়ে স্টাডি। মঠবাড়িয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনরাত ছুটে গিয়ে যারা সংবাদ সংগ্রহ করেন তারা নিশ্চই তাদের মেধা ও শ্রমের মর্জাদা পান না। ফলে মফস্বলে সব সময় ভালো সাংবাদিক পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে একটি পত্রিকার মফস্বল এডিটরদের একটি নিউজ সাইজ করতে ঘাম ছুটে যায়। এটা সারা দেশের কমন চিত্র। অথচ দেখুন গ্রামাঞ্চল প্রধান এদেশের সমস্যা উৎরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু মফস্বল সাংবাদিকতায় গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী দেয়া উচিৎ। সেদিক থেকে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো আমরাও পিছিয়ে। মঠবাড়িয়ায় এই মুহুর্তে যারা সাংবাদিকতা করছেন তাদের কেউই মনেহয়না আমার চেয়ে বয়সে ছোট। বরং বাবা কাকার বয়সিও অছেন কেউ কেউ। তাঁদের আন্তরিকতা, চেষ্টা এসব নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নাই। কিন্তু আমি তাঁদের যোগ্যতা জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছি। কিন্তু কেন? সবিনয়ে বলছি – আমার বাবা ইংরেজি শিক্ষক। আমার সাথে একসময় উনি বাংলায় কথা বলতেন না। এটা অনেকেই জানেন। অথচ আমার আব্বু কিন্তু মোবাইল চালাতে জানেন না। মোবাইলের সমস্ত ফিচার কিন্তু ইংরেজিতেই লেখা। তাতে কি আমার বাবাকে মূর্খ বলবেন? আমি বলতে নারাজ। উনি আসলে সময়ের গ্যাপে আটকা পরে গ্যাছেন। তাঁর বয়স শত্তুরের কাছাকাছি। আমরা তাঁকে প্রচুর রাগারাগি চিল্লাচিল্লি করে একটু আধটু আধুনিক করতে পেরেছি বটে তবে তা খুবই সামান্য। চড়া মেজাজের কড়া কড়া স্বভাবের আমার বাবাকে বেশি বলতে গেলে রেগেও যান শিশুদের মতো। মঠবাড়িয়ায় আমার পিতৃতুল্য ভ্রাতৃতু্ল্য সাংবাদিকেরা আমার সাথে আমার রাগী বাবার মতো আচরণ করছেন। করুন। আমি কষ্ট পাব না। কষ্ট পাব তখন যখন আমাকে আমাকে ফের শুনতে হবে ” টিটো তোমাদের মঠবাড়িয়ায় কি ‘আত্মা’ কে ‘আত্ত্বা’ লেখে?” কিংবা “হ টিটো তোমার পাঠানো নিউজটা তো পড়েছি দশ লাইনের নিউজে চার লাইনের শিরোনাম। হা হা হা”

হ্যাঁ আমি ধৃষ্টতা দেখিয়েছি। নিশ্চই সেটা আমার অন্যায় হয়েছে, বেয়াদবি করেছি আমি। স্বীকার করছি। মঠবাড়িয়ায় যত সাংবাদিক রয়েছেন আমি সবার কাছে করজোরে ক্ষমা চাইছি। প্রয়োজনে আমি মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে গিয়ে সকল সাংবাদিকদের সামনে দুইহাত এক করে ক্ষমা চাইব। তারপরও মিনতি করি হে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার – কেউ আপনাদের শত কষ্টের দাম না দিয়ে, হেয় করলে, সততা নিয়ে প্রশ্ন করলে আমি অনেক কষ্ট পাই। কারণ আমি আপনাদেরই সন্তান, ছোট ভাই। আমাকে ক্ষমা করবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম।

>> সাইফুল বাতেন টিটো, লেখক ও গনমাধ্যম কর্মী।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...