মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতা লিটন পন্ডিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজ রবিবার পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস মঠবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে শুনানি শেষে বিচারিক হাকিম বেল্লাল হোসেন জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস আদালতে হাজির হওয়ার সংবাদ পেয়ে তার সমর্থক আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী আদালত চত্বরে জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শাহানেওয়াজ ও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কোর্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে পৌর মেয়রকে আদালত থেকে পিরোজপুর কারাগারে নেওয়ার সময় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করে। পৌর মেয়রের সমর্থকরা তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। একপর্যায় বিক্ষোভকারীরা পৌরভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের চেষ্টা করে । পুুলিশ বিক্ষোভাকারীদের সমাবেশ পণ্ড করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, গত বছর ২৫ জুলাই মঠবাড়ীয়া উপজেলা শহরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন লিটন পন্ডিত নিহত হন। এ ঘটনায় লিটন পন্ডিতের ভাই জাকির পন্ডিত বাদী হয়ে গত বছর ২৬ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন ফেরদৌসসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পৌর মেয়র উচ্চ আদালতের আট সপ্তাহ জামিনে ছিলেন।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি কালাম মোল্লা, ৪ নং আসামি বাবু শরীফ বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। এছাড়া মামলার ২ নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হাওলাদার ও ১৪ নম্বর আসামি ইউপি সদস্য জুয়েল পলাতক রয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের পর মঠবাড়িয়ায় পৌর মেয়রের সমর্থক ও উপজেলা চেয়ার্যানের সমর্থক আ.লীগ নেতা কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। বিবাদমান দুই পক্ষের উত্তেজনায় পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে শনিবার রাত থেকে শহরে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইন চার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া নির্বহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসসাদিক জামান মঠবাড়িয়ায় অবস্থান করছেন।