ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভুমি

বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভুমি

নূর হোসাইন মোল্লা >

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অতি ভোরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হবেন এটা কেউ কল্পনা করেননি। কেন এ নৃশংস হত্যাকান্ড? এ হত্যাকান্ডের অন্তরালে কি ছিল? এর নেপথ্য নায়ক কারা? এ হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্র কি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, না-কি দেশের বাইরেও ছিল? বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। হত্যাকারীদের ফৌজদারী আইনে বিচারই যথেস্ট নয়। নারকীয় এ হত্যাকান্ডকে বুঝতে হলে এ হাত্যাকান্ডের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট ও কারণ বিশ্লেষণ করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করতে হবে। খতিয়ে দেখা উচিৎ যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, চীন ও ভারতের ভূমিকা কি ছিল। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পিছনে কি কি কারণ কাজ করেছে তা অনুসন্ধান করে তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা করছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয় ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে প্রবাসী সরকার গঠনের পর থেকে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পররাস্ট্র মন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, পররাস্ট্র সচিব মাহবুব আলম চাষী এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য কাজী জহিরুল কাইউমের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন গঠনের চেস্টা চালায়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী সতর্ক থকায় যুক্তরাস্ট্র সফল হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর পাকিস্তান সেনা বাহিনীর একাংশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং তা বাস্তবায়নের জন্যে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে চাপ দিতে থাকে। কিন্ত ভুট্টো কোন সুযোগ করতে পারেননি। বাকশাল গঠনের পূর্ব পর্যন্ত প্রাচ্য, পাশ্চাত্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের গনতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশগুলো বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন করে। তবে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে গৃহীত সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনী বলে বঙ্গবন্ধু সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে ২৪ ফেব্রুয়ারি একক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কৃষক- শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠনের আদেশ জারি করলে প্রাচ্য, পাশ্চাত্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের গণতান্ত্রিক দেশগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়। উল্লেখ্যা, মস্কোপন্থিদের চাপে তিনি বাকশাল গঠন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎস প্রনীত “বাংলাদেশ আনফিনিশড রেভ্যুলিউশন” গ্রন্থে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাথে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার বাণিজ্য মন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, তথ্য প্রতি মন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পররাষ্ট্র সচিব মাহবুব আলম চাষীর যোগাযোগ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর ভাষ্য মতে, এ হত্যাকান্ডে খন্দকার মোস্তাক এবং তাঁর রাজনৈতিক বন্ধুরা সহ যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। এ ছাড়া, এ দেশের প্রশাসনের অনেক উর্ধতন কর্মকর্তা ও সেনা বাহিনীর ৭জন মেজরঃ মেজর ফারুক রহমান, মেজর খন্দকার আঃ রশিদ, মেজর শরিফুল হক ডালিম, মেজর বজলুল হুদা, মেজর আ. আজিজ পাশা, মেজর শাহরিয়ার রশিদ খান ও মেজর নূর চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তারা সেনা বাহিনীর অনেক উচ্চ পদস্থ অফিসারকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে অংশ নেয়ার প্রস্তাব দেন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে পারে এ আশংকায় তাঁরা এতে উৎসাহ দেখাননি। এ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারী মেজর ফারুক রহমান এবং তাঁর ভায়রা মেজর খন্দকার আঃ রশিদ বঙ্গবন্ধুর সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়ে ২০ মার্চ সেনা বাহিনীর উপ-প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার অনুরোধ জানালে তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, আমি দুঃখিত। এ ধরনের কাজে আমি জড়িত হতে চাই না। তবে তোমরা জুনিয়র অফিসাররা করতে চাইলে করতে পার। আমাকে এর মধ্যে জড়াবে না। তিনি এ অভ্যুত্থানের ব্যাপারে আগে থেকেই জেনেও সম্পূর্ন নীরব থাকেন। শোনা যায় যে, ৫ আগষ্ট তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে জানান যে, সেনা বাহিনীর মধ্যে গোলমাল চলছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। চোরাচালানী, মূদ্রাস্ফীতি ও দূূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দেন। এর ফলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সহজ হবে। বঙ্গবন্ধুর সাথে বিভিন্ন আরমি কমান্ডারের এ ধরণের আলাপ আলোচনা কোন ব্যতিক্রমী ঘটনা ছিলনা। তাই বঙ্গবন্ধু বিষয়টি আমলে নেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, পাকিস্তানের সেনা বাহিনী তাঁকে হত্যা করেনি, বাঙ্গালীরাও তাঁকে হত্যা করবে না। বঙ্গবন্ধু নিজস্ব সহজাত ভংগীতে জিয়াকে কোন চিন্তা করতে নিষেধ করেন। তিনি সব কিছুই ঠিক করে দেবেন। অনেকে বলেন, ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে সেনা উপ প্রধান জিয়াউর রহমানের সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য ছিল, একটা উপযুক্ত প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করা। ষড়যন্ত্রকারী মেজররা তাদের অভ্যুত্থানের ব্যর্থ হলে তিনি কখন বঙ্গবন্ধুকে ওই দিনের সাক্ষাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। উর্লেখ্য বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর খন্দকার মোস্তাক ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এবং ধীরে ধীরে গভীর সংকটে ডুবে যেতে থাকেন। জেনারেল জিয়া জাসদ নেতৃত্বকে আশ্বাস দেন যে, জাসদের অন্রর্বতিকালীন কর্মসূচিকে সমর্থন করবেন। এই কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত ছিল ৬২ হাজার রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, অজস্র রাজনৈতিক কর্মীর ওপর হুলিয়া প্রত্যাহার, সেন্সরশীপ বাতিল, বিরোধি দলীয় পত্রিকা গুলোর ওপর নিষেধাঞ্জা প্রত্যাহার, বাকশালকে বাদ দিয়ে একটা সর্ব দলীয় জাতীয় সরকার গঠন ইত্যাদি। জেনারেল জিয়া ওজাসদের মধ্যে একটা গোপন মিতালী গড়ে ওটে।
অ্যান্থনী মাসকারেনহাস “বাংলাদেশঃ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড” গ্রন্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেজর ফারুক রহমানের বোনের বরাত দিয়ে লিখেছেন যে ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় যাবার পথে মেজর খন্দকার আঃ রশিদের বাসায় গিয়ে তাকে জানালেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা গুঞ্জন শুনেছি যে, দেশে শিগগিরই একটা সামরিক অভ্যুত্থান হতে যাচ্ছে এবং এর নেতৃত্বে রয়েছেন আপনি। মেজর রশিদ বুঝতে পারলেন যে, জুনিয়র অফিসারদের সাথে অলক্ষ্যে আলাপের ফাঁকেই এতথ্য ফাঁস হয়েছে এবং এটা শেখ মুজিবের কানে পৌঁছে গিয়েছে। সে চিন্তিত হল, গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে বের করবে। গোয়েন্দা বিভাগ অনুসন্ধান করলো। কিন্তু কার্যকর কিছুই করেনি। তবে ঢাকা ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল শাফায়াত জামিল গুঞ্জনটি শুনে মেজর খন্দকার আ. রশিদকে তাঁর অফিসে ডেকে বলেন যে, তার নাম জড়িয়ে ঢাকায় একটা সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থানের কথা শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে বিধি সম্মত ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও তাকে জানান।

মেজর রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন চাপ আসলে আমি আপনাকে জড়িয়ে দেব এবং বলবো যা কিছুই করেছি তা আপনার নির্দেশেই করেছি। আমার কাছে প্রমানও আছে। এ জন্যে আপনি আমাকে যশোর থেকে ঢাকায় বদলি করেছেন। কর্ণেল জামিল মেজর রশিদের সাথে এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করেন নি। অতপর মেজার রশিদ এবং ফারুক বেপরোয়া হয়ে শেখ মুজিবকে হত্যা করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। মাসকারেণহাস আরো বলেন, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সি.আই.এ. প্রধান ফিলিপ চ্যারী পূর্ব থেকেই এ অভ্যুত্থানের বিষয় অবহিত ছিলেন। দুই মেজরের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী জুনিয়র অফিসাররা ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে সেনা বাহিনীর গর্বিত নাম কে মলিন করে দেয় এবং দেশের মহা সর্বনাশ ডেকে আনে। বলা আবশ্যক যে, ১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টম্বর থেকে বাকশালের শাসন ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা ছিল। ২১ জুলাই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু তাঁর মনোনীত জেলা গভর্নরদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বাণী উচ্চরণ করে বলেন, আজ বাকশাল সদস্যদের সতর্ক থাকার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগন খুব বেশী প্রতিক্রিয়াশীল। তারা তেমোদেরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। তোমরা মনে রাখবে, যদি তোমরা ভুল করো, তাহলে তোমরা এদেশের মাটি থেকে নিঃশেষ হয়ে যাবে। দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধু নিজেই তাঁর সতর্ক বাণী আমলে নেন নি।

জুলফিকার আলী ভূট্টোর জীবনী লেখক স্ট্যানলি উলপার্ট এর “জুলফি ভূট্টো অব পাকিস্তানঃ হিজ লাইফ এ্যান্ড টাইমস” গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমান পাওয়া যায়। উলপার্টের ভাষ্য মতে ভূট্টো বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সরকার উৎখাতের জন্যে বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করেন। এমন কি বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন করে ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ নাম গ্রহণে বাধ্য করতে ভুট্টো মাওলানা নিয়াজিকে মধ্য প্রাচ্যে প্রেরণ করেন।

লে: কর্নেল (অব:) এস.এম. মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ প্রনীত “পচাত্তর ইতিহাসের কলংকিত” গ্রন্থে জানা যায়, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে ভারতের ভুমিকা পরিষ্কার ছিল না। তবে এটা স্পষ্ট যে, এ হত্যাকান্ডের পর ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডকে সতর্ক অবস্থায় রাখেনি। এব্যাপারে ইস্টার্ন কমান্ড প্রধান লে: জেনারেল জে.এফ.আর. জ্যাকব বলেন, যতক্ষন কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ভারতে না আসছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে কি ঘটলো, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম রবার্ট স্যাক্সবি ১৬ আগস্ট স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো এক বার্তায় এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের আই.এন.এ. কর্মকর্তা ন্যাশ ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের উপ-সচিব জে. বড়–য়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হওয়ার সময় তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশের মোস্তাক সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, খন্দকার মোস্তাক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে একটা সমঝোতায় উপনীত হওয়ার চেস্টা করে ব্যর্থ হন। এখন তিনি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেস্টা চালাবেন। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা থেকে প্রত্যাগত এক ভারতীয় কূটনীতিক তাঁকে বলেছিলেন এ অভ্যূত্থানের কথা। গত কয়েক মাস ধরে ঢাকায় শোনা যাচ্ছিল যে, সম্প্রতি চাকুরিচ্যূত এক মেজর নেতৃত্বাধীন একদল হতাশ রাজনীতিক ও সামরিক অফিসার শেখ মুজিবের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
প্রশ্ন হল, ভারত বিষয়টি জেনেও বঙ্গবন্ধুকে কেন সতর্ক করলো না, তাহলে ভারত কি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিল……? ( চলবে)

………………………………………………………………………………………..
# লেখক পরিচিতি : নূর হোসাইন মোল্লা, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

সদস্য সচিব, মঠবাড়িয়া উপজেলা নাগরিক কমিটি ।
মোবাঃ ০১৭৩০-৯৩৫৮৮৭

Leave a Reply

x

Check Also

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন আটক

পিরোজপুর প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে ...