বামনা প্রতিনিধি > বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সহকারী সার্জণ ডা.মুহাম্মদ রাজিব হোসাইন কোন অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৫ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। জেলা ও উপজেলা স্ব্স্থ্যা বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওই চিকিৎসকের অনুপস্থিতির বিষয়ে চিঠি দিয়েও কোন সাড়া মিলছেনা। এমনকি ওই চিকিৎসকের খোঁজ জানতে তার মুঠোফেনে যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাচ্ছে স্বাস্থ বিভাগের সংশ্লিস্টরা। ফলে ওই চিকিৎসকের বর্তমান অবস্থান নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারছেনা স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডা.মুহাম্মদ রাজিব হোসাইন মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদি উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের আ.আজিজ মিয়ার ছেলে।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে কর্মরত সহকারী সার্জন ডা.মুহাম্মদ রাজিব হোসাইন(কোড নম্বর-১২৫৬০৮২) ২০১১সালের ১ আগস্ট বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের যোগদান করেন । যোগদানের পর মাত্র ২৮দিন কর্মস্থলে থাকার পরে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এরপরে আর কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। তাঁর বিষয়ে জানার জন্য বিভিন্ন সময় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় চিঠি দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু তাতে কোন সাড়া মেলেনি।
২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মানজুরুল ইসলাম ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা রুজু করেন। মামলাটির এরপর আর কোন অগ্রগতিও নেই। এমনকি ওই চিকিৎসকের বর্তমান অবস্থানের কোন হদিস মিলছেনা।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন শাহীন খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডা. রাজিব হোসাইন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কয়েকবছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন । তাঁর ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশিষ্ট দপ্তরে কয়েক দফা চিঠি দিয়ে অবগত করানো হয়েছে । কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। কর্মস্থল ত্যাগের পরে অদ্যবধি সে বেতন ভাতা তুলতেও আসেননি।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. রুস্তুম আলী বলেন, ওই চিকিৎসকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা বেশ কয়েকবার তার খোঁজ জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি । কিন্তু এসব চিঠির কোনো উত্তর মেলেনি।