ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের কাউখালীর বেকুটিয়া সেতু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন

খুলনা-বরিশাল মহাসড়কের কাউখালীর বেকুটিয়া সেতু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন

রফিকুল ইসলাম রফিক, কাউখালী(পিরোজপুর) > খুলনা-বরিশাল-পিরোজপুর-ঝালকাঠি মহাসড়কের কচাঁ নদীর উপর অষ্টম চীন মৈত্রী বেকুটিয়া সেতু অনত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বেকুটিয়া সেতু বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেকুটিয়া সেতু বাস্তবায়ন সঙগ্রাম কমিটির আহবায়ক আহসান হাবিব মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন,শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, মেজর অবঃ ব্যারিষ্টার সরোয়ার হোসেন, সংগ্রাম কমিটি সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মাদ, কাউখালী উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী কাজী রুহিয়া বেগম হাসি, কাউখালী কলেজের সাবেক ভিপি শাফিউল আজম দুলাল, আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ মিল্টন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক ফকির নাসির উদ্দিন, পিরোজপুর উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব মাইনুল হাসান মুন্না, জাসদ ঢাকা মহানগরীর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান রিপন, ঢাকাস্থ কাউখালী উপজেলা যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আরিফুল হক চঞ্চল, সাইদুজ্জামান মাসুদ, সফিকুল ইসলাম রুবেল, বাগেরহাট জেলার পক্ষ থেকে শরিফ লিটু, ভান্ডারিয়া উপজেলার পক্ষে বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ২০১১ সনে ২২ এ ফেব্রুয়ারী বরিশালের জনসভায় পিরোজপুর এর বেকুটিয়া নামের স্থানে কচাঁ নদীর উপর সেতু নির্মান এর প্রতিশ্রুতি দেন সেই পরিপ্রেক্ষিতে সেতু বিভাগ হতে সেতু নির্মান এর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেতু বিভাগ নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করেন। জরিপ অনুযায়ী সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার এবং সেতু কর্তৃপক্ষ হতে পিরোজপুর ঝালকাঠি সড়কের কচা নদীর উপর বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ নামে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়। পরর্বতীতে হঠাৎ করে সেতু নির্মান এর দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বেকুটিয়া ফেরীঘাটের পরিবর্তে অন্যত্র সেতু নির্মানের পায়তারা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্যত্র সেতু নির্মান করা হলে সেতুসহ সংযোগ সড়কের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রাহণের প্রয়োজন হবে । ফলে অনেকেই তাদের কৃষি এবং বাসস্থানের জমি হারাবে। এতে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পাবে । তাছাড়া পূর্বের অবস্থানের জমি অব্যবহৃত থেকে যাবে। অথচ বেকুটিয়া ফেরিঘাটে সেতু নির্মাণ করা হলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া নদীর উভয় পাড় স্থিতিশীল হওয়ার তেমন নদীশাসনকাজের প্রয়োজন হবে না। এর ফলে প্রকল্প ব্যয়ও কম হবে ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...