আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন > আজ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । আজ ১৬ মার্চ দিবসটি উদ্যাপন করবে জাতি। সেই সাথে আজ বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করা হবে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী বীর সন্তানদের । স্বাধীনতার স্থপতি ও বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতাদের, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের। জাতি উদ্যাপন করছে স্বাধীনতার ৪৫ বছরপূর্তি।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ঢাকায় বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। পরদিন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ সেই থেকে শুরু। তারপর টানা ৯ মাস। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনগণকে।
আজ দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ছাড়াও সব সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকায়। গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হবে।
সারা দেশের স্মৃতিসৌধগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।