ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - ভাণ্ডারিয়ার গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হত্যা তিন বছর পর ২১জনকে আসামী করে পুলিশের সম্পূরক অভিযোগপত্র

ভাণ্ডারিয়ার গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হত্যা তিন বছর পর ২১জনকে আসামী করে পুলিশের সম্পূরক অভিযোগপত্র

ভাণ্ডারিয়া সংবাদদাতা :
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামান দুলাল হত্যা মামলায় তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর পুলিশ চার দফা তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেছে । ওই নৃশংস হত্যাকান্ডের তিন বছর দুই মাস পর আজ রবিবার পিরোজপুর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) মোল্লা আজাদ হোসেন আদলতে এ সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেন।
এতে গৌরিপুর ইউনিয়নের আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। অন্য আসামীরা হচ্ছে আনোয়ার হোসেন আনু, মো. রিপন কবিরাজ, মো. অহিদ মুন্সী, মো. পলাশ হাওলাদার, শামীম আহসান সেপাই, রনি, মো, সোহেল, মো. আব্দুস সোবাহান, মো. রফিকুল ইসলাম মিন্টু, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. সবুজ, সুজন তালুকদার, মো. নাসির সরদার, মো. হায়দার আলী হাওলাদার, মো. ওবায়দুল হক বাচ্চু, মো. আব্দুল কুদ্দুস মুন্সী, মো. সোহেল আকন, মো. রফেজ উদ্দীন মেম্বার, মো. দুলাল সরদার, মো. মাহিবুল ইসলাম নাম উল্লেখ করে মোট ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ।
উল্লেখ্য অভিযোগপত্রে মো. শহিদুল ইসলামসহ ৬জন আসামী সশরীরে উপস্থিত থাকে এছাড়া বাকীরা অভিযুক্তরা অপরাধে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহায়তা করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। অন্যদিকে তদন্তে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহিবুল হোসেন মাহিম, মো. দুলাল সরদার, মো. রফেজ উদ্দিন মেম্বরের বিরুদ্ধে বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট কোন সাক্ষ্য প্রমান না পেলেও পূর্ববর্তী তদন্ত কর্মকর্তার চার্জশীটে ওই তিন জনের নাম উল্লেখ থাকায় আইনগত বাধ্যবধকতা থাকায় তাদের নাম সম্পূরক অভিযোগপত্র হতে বাদ দেওয়া হয়নি।
জানাগেছে, ইতিপূর্বে মামলাটি সহকারী পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ তদন্ত করে ২০১৫ সালে ১ মার্চ ১৬ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করলে মামলার বাদি এতে নারাজির আবেদন করেন। এর পূর্বে সিআইডি তদন্ত করে ২০১৩ সালে ১০ ডিসেম্বর আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রথম চার্জশীট দাখিল করলে একইভাবে মামলার বাদি নিহত চেয়ারম্যাসের ভাই গৌরিপুর ইউনিয়নের বর্মান চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান নারাজির আবেদন করলে দ্বিতীয় দফা তদন্ত শুরু হয়। আদালতের নির্দেশে পুলিশ হত্যাকান্ডের দুই বছর পর দ্বিতীয় দফায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন। বাকী আসামীরা পলাতক ও উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান দুলাল নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে পার্শ্ববর্তী মাটিভাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার সময় সড়কের ওপর একদল দুবৃত্ত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান দুলাল উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলার সাত নম্বর গৌরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। দুলালের স্ত্রী মাকসুদা বেগম পেশায় একজন ব্যাংকার। তাদের একমাত্র মেয়ে তাসমীন জাহান মীম কানাডায় লেখাপড়া করছেন। এছাড়া নিহত চেয়ারম্যান দুলাল জাতীয় পার্টি (জেপি)কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
১৯৮৬, ১৯৯৮ সালে ও ২০০৩ সালে পরপর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। চেয়ার দুলাল পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে ইতিপূর্বে দুইবার স্বর্ণপদকও পান।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...