ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গতকাল শুক্রবার স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে যেন দলীয় প্রার্থী বাছাই করে তার তালিকা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অর্থাৎ একক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য স্থানীয় নেতারা সময় পেলেন মাত্র তিন দিন।
তবে দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বলছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা তাদের পক্ষে কঠিন হবে। এতে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে তাদের। কেননা, দল দুই মেয়াদে টানা সাত বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় বলে তৃণমূলের অনেক নেতাই প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেকেই দলের মনোনয়ন পেতে মরিয়া।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা বলছেন, ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য এরই মধ্যে ইউনিয়নগুলোতে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। বেশির ভাগ ইউনিয়নে দুই থেকে সাতজন মনোনয়ন-প্রত্যাশী চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। প্রত্যেকেই মনে করছেন তিনি ত্যাগী এবং দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।
নির্বাচনী মাঠে একাধিক সক্রিয় মনোনয়ন-প্রত্যাশী থাকায় দলের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা আছেন অস্বস্তিতে। বেঁধে দেয়া স্বল্প সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে একক প্রার্থী বাছাইয়ের কারণে নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ সমস্যার সৃষ্টি হয় কি না, সেই শঙ্কা ভাবিত করছে তাদের। এমনকি প্রার্থিতা নিয়ে তৃণমূলে বিদ্রোহ ও সংঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।