ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় বিউটি বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে।
উপজেলার উত্তর পৈকখালী গ্রামে শনিবার দিনগত গভীর রাতে নিজ বাড়িতে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন।
নিহত গৃহবধূ বিউটি বেগম ওই গ্রামের রং মিস্ত্রী ফিরোজ আলম হাওলাদার স্ত্রী। সে ছয় সন্তানের জননী। পুলিশ শনিবার গভীর রাতে খবর পেয়ে রাত একটার দিকে হাসপাতাল হতে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। জমি সংক্রান্ত বিরোধে ওই গৃহবধূ হত্যাকা-ের শিকার হতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
আজ রবিবার সকালে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী ফিরোজ আলম হাওলাদার সহ দুই প্রতিবেশী আল আমীন হাওলাদার (৩২) আলম হাওলাদার (৪০) কে আটক করেছে। পুলিশ হত্যাকা-ের ঘটনাস্থল কোয়ার্ডন করে রেখেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্বামীর সঙ্গে বাইরে টয়লেটের উদ্দ্যেশে বের হন বিউটি বেগম। এসময় ওতপেতে থাকা ধারালো অস্ত্রধারী কয়েকজন দূর্বৃত্তরা মিলে গৃহবধূকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় প্রাণ ভয়ে স্বামী ফিরোজ হাওলাদার অক্ষত অবস্থায় দৌড়ে ঘরে প্রবেশ করে দরোজা বন্ধ করে দেন। সন্ত্রাসীরা গৃহবধূ বিউটি বেগমকে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চি করে লাশ ঘরের সামনে সিঁড়িতে ফেলে রেখে নির্বিঘেœ চলে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের তিন ননদ লিপি বেগম, জেসমিন বেগম ও মনি বেগম জানান, ফিরোজ আলমের সাথে তার প্রতিবেশী আল আমীন হাওলাদার, আলম হাওলাদার ও টিপু হাওলাদার এর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন। ফিরোজ উক্ত মামলায় হাজিরা দিতে ৪ দিন পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন । প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা ফিরোজকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। ইতিপূর্বে প্রতিপক্ষরা তাদের ভাইয়ের মেয়ে (ফিরোজ হাওলাদার এর মেয়ে) আখি বেগম কুপিয়ে কিছুদিন আগে জখম করেছিল। সে এখনও অসুস্থ্য। মেয়ের ক্ষত শুকাতে না শুকাতে মেয়ের মাকে নির্মমভাবে হত্যা করল সন্ত্রাসীরা।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম মাকসুদুর রহমান হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ প্রতিবেশী তিনজনকে আটক করা হয়েছে।