ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় শিক্ষকের বেতের পিটুনীতে শিক্ষার্থীর চোখ নষ্টের আশংকা ◾️অভিযুক্ত শিক্ষকককে শোকজ

মঠবাড়িয়ায় শিক্ষকের বেতের পিটুনীতে শিক্ষার্থীর চোখ নষ্টের আশংকা ◾️অভিযুক্ত শিক্ষকককে শোকজ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি <>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গোলাম রব্বানী নামের এক শিক্ষকের এর বেতের পিটুনীতে জিহাদ বেপারী নামে ১০ম শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রের এক চোখ নষ্টের আশংকা দেখা দিয়েছে। বাম চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে ওই শিক্ষার্থী এখন ঢাকার একটি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এদিকে আহত শিক্ষার্থীর বিক্ষুব্ধ সহপাঠি ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বুধবার স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়ার সভাপতিত্বে জরুরী ভিত্তিতে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষক মিলে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করে। এতে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

আহত শিক্ষার্থী জিহাদ সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীতে লেখা পড়া করছে। স্থানীয় সৌদি প্রবাসী বাবুল বেপারীর ছেলে।

আহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী জিহাদ গত ২৫ আগস্ট সকালে সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম রব্বানি লিটন এর কাছে প্রাইভেট পড়তে ছিল। এসময় হোম ওয়ার্ক না হওয়ায় ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে নির্দয়ভাবে বেতের পিটুনী দেন। এসময় পাশে থাকা জিহাদ এর জিহাদের বাম চোখে পিটুনী লাগে। এতে জিহাদের চোখে রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় স্বজনরা জিহাদকে আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে খুলনা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। বর্তমানে জিহাদ ঢাকার ধানমন্ডি হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. শেখ এ,এন, মান্নান এর তত্ত্ববধানে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

আহত স্কুলছাত্রের মা জাহানুর বেগম বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন ছেলের বাম চোখের অবস্থা সংকট জনক। আমার ছেলে বাম চোখ হারাতে হয় কিনা সে শংকায় আছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন অপারেশন করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানি লিটন বলেন, অন্য এক শিক্ষার্থীকে মারতে গিয়ে অসাবধানতা বশত জিহাদের চোখে লেগে যায়। তার চিকিৎসার খরচ আমি বহন করতে চাই।

এ বিষয়ে সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, এ ঘটনার কোন লিখিত অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীর পরিবার দেননি। আহত জিহাদেও সহপাঠিরা গতকাল অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে। এ কারনে আজ বৃহস্পতিবার স্কুল ম্যানেজিং কমিটি স্কুলে জরুরী সভা ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। তাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ বলেন, আমার দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মৌখিক জেনেছি। এ বিষয় অভিযুক্ত শিক্ষককে জবাব দিতে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানোর জন্য উপজেলা শিক্ষা দপ্তরকে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...