বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে এক যুবলীগ নেতার নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পশ্চিম নওপাড়া গ্রামে শনিবার রাতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অনুষ্ঠানে ওই টাকা ফেরত দেন তিনি।
এ সময় সংসদ সদস্য বলেন, “আগে টাকা ফেরত লও, তারপর বিদ্যুৎ নেউ।”
৪০ জন গ্রাহকের প্রত্যেকের হাতে নগদ আড়াই হাজার করে হস্তান্তর করেন তিনি।
এই টাকা আওয়ামী লীগের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা ইউনুস আলী বাবু ‘ঘুষ’ হিসাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কুদ্দুস।
নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ (বনপাড়া) মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার সরকার জানান, সম্প্রতি চাপিলা ইউনিয়নের পশ্চিম নওপাড়া গ্রামে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৭ জন গ্রাহকের জন্য পৌনে এক কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন স্থাপন করে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
“কিন্তু চাপিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বাবু বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে ৪০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই হাজার করে মোট এক লাখ টাকা আদায় করেন।”
সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ফেইসবুক পাতায় এক গ্রাহক টাকা আদায়ের কথা জানালে বিষয়টি তার নজরে আসে।
নিতাই সরকার বলেন, “সাংসদের নজরে এলে গতকাল (শনিবার) রাতে পশ্চিম নওপাড়া গ্রামে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা আগে ফেরত দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেন তিনি।”
সাংসদ কুদ্দুস বলেন, “সরকার বিনা খরচে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। অথচ কতিপয় বিপথগামী নেতা-কর্মী সামান্য টাকার লোভ সামলাতে না পেরে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন।”
টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইউনুস আলী সাংবাদিকদের বলেন, “আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, এটা বড় কথা।”
টাকাগুলো কার জন্য আদায় করা হয়েছিল জানেন কি না- সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সংসদ সদস্য কুদ্দুস বলেন, “টাকা আদায় করে ফেরত দিতে পেরেছি, এটাই সান্ত্বনা। ইচ্ছা থাকলেও এর বেশি কিছু করা সম্ভব না।”