পাথরঘাটা(বরগুনা)প্রতিনিধি >>
বরগুনার পাথরঘাটার অগ্নিদদ্ধ গৃহবধু সাজেনুর বেগম(৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা গেছেন। গত ১২ জুন তার সাবেক স্বামী ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিলে সাজেনুরের মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। স্বামী মো. বেলাল হোসেন ৪ কিলোমিটার দুরে পূর্ব হাতেমপুর গ্রামে আম গাছের সাথে দড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পাথরঘাটা পুলিশ ও সাজেনুরের সাথে থাকা তার ভগ্নিপতি টেলিফোনে ঢাকা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের গৃহবধু সাজেনুর বেগম(৩০) এর বাবার বাড়িতে তার সাবেক স্বামী মো. বেলাল হোসেন গত ১২ জুন গভীর রাতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়। আগুন টের পেয়ে ঘর থেকে বের হতে না পারায় ঘরের মধ্যে সাজেনুরের স্কুল পড়–য়া মেয়ে সাকিনা আকতার কারিমা(১০) পুড়ে মারা যায়। সাজেনুরকে ১৩ জুন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করা হলে চিকিসৎসক তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাালে রেফার করে। বরিশাল থেকে ১৪ জুন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করে। এক সপ্তাহ মুত্যুর সাথে লড়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। ঢাকায় তার সাথে থাকা তার ভগ্নিপপতি মো, ইব্রাহিম মিয়া সকালে টেলিেেফানে জানান, আইসিউতে থাকা অবস্থায় চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। আজ (বৃহস্পতিবার) তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে বাড়িতে আনা হবে।
উল্লেখ্য,প্রায় দেড় বছর আগে চট্রগ্রামে পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় সাজেনুরের সাথে বেলালের বিয়ে হয়। পরস্পরের বনিবনা না হওয়ায় গত ২৮ মে সাজেনুর মো. বেলালকে একতরফা তালাক দেয়। এরপর থেকে বেলাল পুনরায় সাজেনুরকে পাওয়ার জন্য নানা প্রকার হিংসাত্বক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে সাজেনুরের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম জানান, আগুনে সাজেনুরের শ্বাসনালী ক্ষতগ্রস্ত হয়েছিল। ঢাকায় মৃত্যুর আগে বলেন, তার স্বামীর পক্ষ হয়ে অনেকে ফোনে হুমকী দিত তার বিবরন দিয়ে গেছেন বলে ইব্রাহিম দাবি করেন।
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. হানিফ সিকদার টেলিফোনে জানান, গত ১৩ তারিখ সাজেনুরের বাবার রুজু করা মামলা তদন্তাধিন আছে। সাাজেনুরের মৃত্যু সংবাদ থানায় তার আত্মীয় অবহিত করেছে।