ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - মঠবাড়িয়ায় নিখোঁজের দুইদিন পর পোশাক ব্যবসায়ির লাশ মিলল খালে !

মঠবাড়িয়ায় নিখোঁজের দুইদিন পর পোশাক ব্যবসায়ির লাশ মিলল খালে !

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া মো. বেলায়েত হোসেন হাওলাদার (৪৫)নামে এক পোশাক ব্যবসায়ির খালে ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামের সেকান্দার আলীর বাড়ির সম্মূখ কুমিরমারা খালের ঘাট থেকে ওই ব্যবসায়ির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে গত গত দুইদিন ধরে নিখোঁজ নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার দুপুরে একটি শালিস বৈঠক শেষে বাসায় এসে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে তিনি আর বাসায় ফেরেননি। তবে এ নিখোঁজের ঘটনায় ব্যবসায়ির স্ত্রী রেকসনা বেগম স্বামীর সন্ধান চেয়ে শুক্রবার দিনগত রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছিলেন।
নিহত ব্যবসায়ি বেলায়েত হোসেন মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী । সে পৌর শহরের সবুজ নগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আনোয়ার মুন্সীর ছেলে। সে চার সন্তানের জনক।

থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সকালে শহরের পাথরঘাটা বাস স্ট্যান্ডে প্রতিবেশীর সাথে বেলায়েতের জমিজমা নিয়ে বিরোধের সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সালিশে জমির কাগজপত্র দেখিয়ে নিজের পক্ষে রায় পান ওই ব্যবসায়ি। সালিশ শেষে বাসায় ফিরে বাজারের উদ্যেশ্যে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে স্বামী নিখোঁজ দাবি করে তার স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ করেন। আজ শনিবার বিকাল ৫টার দিকে মঠবাড়িয়ার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামের কুমিরমারা খালের একটি ঘাটে লাশ ভাসতে দেখে গ্রামবাসি থানায় খবর দেয় । পুলিশ পওে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যবসায়ির লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের স্বজনরা নিখোঁজ ব্যবসায়ি বেলায়েত হোসেন লাশ সনাক্ত করেন।

এ ব্যাপরে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মোহাম্মদ মাজহারুল আমীন বলেন, ব্যাবসায়ি নিখোঁজের বিষয়ে তার পরিবারের থানায় জিডি করার একদিন পর খালে ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Leave a Reply

x

Check Also

লাইটার জাহাজের ধাক্কায় চরখালী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে বিধ্বস্ত 🔴 যানবাহন চলাচল বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী-টগরা ফেরিঘাটের চরখালী ঘাটে একটি জাহাজের ধাক্কায় ফেরির ...