ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - মুখে দেশপ্রেম , অন্তরে বিদেশী সংস্কৃতির লালন

মুখে দেশপ্রেম , অন্তরে বিদেশী সংস্কৃতির লালন

মো সবুজ রাছেল :

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।বিজয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সারা দেশে পাড়া মহল্লায় সন্ধ্যা থেকেই গান বাজানো হয়। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্যি রাত যত গভীর হয় বিভিন্ন স্থানে ততই ধুম ধামাক্কা হিন্দি গান বাজানো শুরু হয়ে যায়।কেউ কেউ আবার নিজেদের ওভার স্মার্ট হিসেবে প্রমান করার জন্য ইংলিশ গানও বাজিয়ে থাকে।

শুধু পাড়া মহল্লার কিশোর-যুবকরাই নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিসগুলোতেও অনেক সময় উচ্চ শব্দে বিদেশী গান বাজানো হয়।তবে যারা এর আয়োজক তারাও অনেক সময় এসব গান শুনে বিব্রত বোধ করে। তবুও বছরের পর বছর জুড়ে ঘটে যাচ্ছে একই ঘটনা।যেন এটাই আমাদের নিয়তি।

মুলত এসব স্থানে গান বাজানোর দায়িত্বে থাকে তরুনরা।তাদের কারনেই এমনটা ঘটে থাকে।এ ক্ষেত্রে শুধু মাত্র তাদের বয়স সল্পতাকেই দায়ি করা চলবেনা। বরং তাদের উদাসিনতা এবং বিবেকহীনতাই এর মূল কারন।

কেননা এই সময়ে যে তরুনদের হাতে গানের নিয়ন্ত্রন থাকে আজ থেকে ৪৪ বছর আগে মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় তাদের বয়সি কিংবা তাদের চেয়েও কম বয়সি কিশোররা হাতে গ্রেনেড নিয়ে ছুড়ে মেরেছে পাকিস্থানি সৈনিকদের গায়ে অথবা কেউ কেউ স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বুকে মাইন বেধে ঝাপিয়ে পড়েছে শত্রুর চলন্ত গাড়ির নিচে। হাতে রাইফেল নিয়ে খেয়ে না খেয়ে হেটেছে মাইলের পর মাইল।শত্রু সেনাদের হাতে ধরা পড়ে শত অত্যাচারেও মুখ খুলেনি। বরং জয় বাংলা বলে মৃত্যুর আগেও চিৎকার করে জানিয়ে দিয়েছে নিজের ভালবাসার নাম।

যারা এই বিজয়ের মাসে বিদেশী গান বাজিয়ে কিংবা মাদক খেয়ে বিজয় উৎসব উৎযাপন করে থাকে আমাদের বিশ্বাস তারা না জেনেই এসব করছে।এর পিছনে শহীদদের আত্মাকে অপমান করার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই।তাদেরকে সচেতন করলেই তারা বুঝতে পারবে নিজেদের ভুল।১৫ জুলিয়াটোলা স্ট্রিট, কলিকাতা থেকে ১৯২৮ সালের ৮ই মার্চ কাজী মোতাহার হোসেন কে লেখা আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিঠির কয়েকটি লাইন যেন সেই সব তরুনদের উদ্দেশ্য করেই লেখা, যারা বিজয়ের মাসে শ্রদ্ধা জানাতে এসে পক্ষান্তরে শহীদদের কে অবমাননাই কেরছে—

সুন্দরের অবহেলা আমি সইতে পারি না বন্ধু, তাই এতো জ্বালা।ভিক্ষে যদি কেউ তোমার কাছে চাইতেই আসে অদৃষ্টের বিরম্বনায়, তাহলে তাকে ভিক্ষা নাই দাও, কুকুর লেলিয়ে দিও না।আঘাত করবার একটা সীমা আছে।সেটাকে অতিক্রম করলে আঘাত অসুন্দর হয়ে আসে।আর তক্ষুণি তার নাম হয় অবমাননা।

বিজয় দিবসে সবচেয় বেশি বাজানো গান মনে হয় এইটি—

সব কটা জানালা খুলে দাও না আমি গাইবো, গাইবো
বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি
যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ
সব কটা জানালা খুলে দাও না !!

জানালা আমরা খুলেই রাখতে চাই।কিন্তু সেই জানালা দিয়ে যেন গভীর রাতে হিন্দি গানের শুর ভেসে না আসে।কোনো মন ভাঙ্গা গানও আমরা শুনতে চাইনা।তাহলে চুপি চুপি যারা আসবে তারাও ভিষন কষ্ট পাবে !!

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় বিএনপির নির্বাচন বিরোধী প্রচারপত্র বিলি

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের একতরফা নির্বাচন বন্ধের দাবী ও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না ...