ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন ডেস্ক >>
আজ মঙ্গলবার ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী। ৭১’র এই দিনে নূর মোহাম্মদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গোয়ালহাটি গ্রামের সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। এ উপলক্ষে নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‌্যালি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, সশস্ত্র সালাম, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও নূর মোহাম্মদ ট্রাস্টের সভাপতি মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক শেখ নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার (মহিখোলা) বর্তমান নূর মোহাম্মদ নগরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ নূর মোহাম্মদ তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টে যোগদান করেন এবং কৃতিত্বের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর দিনাজপুর সেক্টরে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭০ সালের ১ জুলাই যশোর সেক্টর হেড কোয়ার্টারে বদলি হন। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ ৮ নম্বর সেক্টরে সাবেক ইপিআর ও বাঙালি সেনাদের নিয়ে গঠিত একটি কম্পানিতে যোগদান করেন। ৭১’র ৫ সেপ্টেম্বর নূর মোহাম্মদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গোয়ালহাটি গ্রামের সম্মুখযুদ্ধে একটি টহলের নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন। সঙ্গী ছিল আরও চারজন সেনা। তারা পার্শ্ববর্তী ছুটিপুর পাক হানাদার বাহিনীর ঘাঁটির ওপর নজর রাখছিলেন।

পাকবাহিনী টের পেয়ে বিপজ্জনক অবস্থার মুখে টহলদার মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা করে।
হানাদারদের এই পরিকল্পনা বুঝে উঠতেই নূর মোহাম্মদ সঙ্গীদের নিয়ে হানাদার বাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণ করেন। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। মারাত্মক আহত হন সঙ্গী নান্নু মিয়া। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হানাদারদের মর্টার শেল মারাত্মকভাবে জখম করে নূর মোহাম্মদকে। মৃত্যু আসন্ন বুঝে তিনি সিপাহী মোস্তফা কামালের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়ে আহত নান্নু মিয়াকে নিয়ে সবাইকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলেন। উপায়ান্তর না পেয়ে তারাও তাই করলেন, কিন্তু একটি এসএলআর রেখে যান মারাত্মক আহত কমান্ডারের কাছে। নূর মোহাম্মাদ মৃত্যুপথযাত্রী হয়েও এসএলআর নিয়ে শেষবারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েন হানাদারদের ওপর এবং সেখানেই শহীদ হন তিনি। পরে নিকটবর্তী একটি ঝোঁপের মধ্যে মৃতদেহ পাওয়া যায় এই বীরের। শত্রুর বেয়োনেটে তার দেহ ছিল ক্ষত বিক্ষত, চোখ দুটি কোটর থেকে উপড়ে ফেলেছিল নরপিশাচরা।

ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ সঙ্গী সৈনিকদের প্রতি যে ভালবাসা প্রদর্শন করেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত বুঝে দেশের জন্য আবারও হানাদারদের খতমের জন্য একা ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতার পথ সুগম করার চেষ্টা চালিয়ে দেশপ্রেমের যে প্রমাণ রেখেছেন তার কোন তুলনা নেই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এদেশের মাটিতে নূর মোহাম্মাদের রক্তের গন্ধ পাওয়া যাবে। যতদিন এ জাতি থাকবে ততদিন নূর মোহাম্মদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
সূদ্র : কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...