ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ শেষে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ শেষে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী চাঞ্চল্যকর উর্মি আক্তারকে (১০) ধর্ষণ শেষে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সহ¯্রাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।
উপজেলার ৬নম্বর মধ্য বড়মাছুয়ার জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড়মাছুয়া-তুষখালী সড়কের বটতলা নামক স্থানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে শিশু উর্মি হত্যার প্রতিবাদ জানায়।

শেষে বটতলা তিন রাস্তা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম টুকুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার, পৌর যুবলীগ সভাপতি তৌহিদ মাসুম, আভিভাবক মো. শামীম আকন, কামরুজ্জামান স্বপন, আসমা বেগম ও নিহত শিশু উর্মির দাদি মেহেরুন আমিন এবং নিহত শিক্ষার্থীর বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমিন সোহেল।
উল্লেখ্য. দৈনিক সরেজমিনের পত্রিকার মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় অনলাইন মঠবাড়িয়া কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক জুলফিকার আমিন সোহেলের ছোট মেয়ে উর্মি আক্তার নিখোঁজের তিন দিন পর গত রবিবার সকালে বাড়ির অদুরে ডোবা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ওইদিন রাতে রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাতে পুলিশ এঘটনায় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের কুদ্দস আকনের ছেলে ছগির আকন (৩৫)কে আটক করে।

এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম গত পাঁচমাস আগে যোগদানের পর থেকেই ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিল। নিহত উর্মি ও তার সহপাঠি শামীমাকেও ক্লাসে অশ্লীল মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় নিহত উর্মিকে গত বুধবার বেধড়ক মারধর করে। অভিভাবক আসমা বেগম বলেন, উত্যক্তের বিষয়টি আমি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অবহিত করি। তারা আরও বলেন, ওই শিক্ষকের ভয়ে উর্মি গত বৃহস্পতিবার স্কুলে উপস্থিত হয়নি। এর পর গত শুক্রবার বিকেলে উত্তর বড়মাছুয়ার বাড়ি থেকে দাদি মেহেরুন আমিনকে বলে নিহত উর্মি বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাবার কথা বলে নিখোঁজ হয়।

এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাজহারুল আমীন জানান, ছগির নামে এক প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...