পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্য রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেসে তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়েছে।
রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১১ নম্বর কেবিনে সোমবার সকাল ১১টায় তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে দ্রুত দেশের বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এজন্য পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার রাতেই তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে। তার কানাডা প্রবাসী এক ভাই এবং ছেলে অভিক একই ফ্লাইটে তার সাথে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টায় তার ছোট ভাই মোঃ কামাল উদ্দিন স্কয়ার হাসপাতাল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১লা জুলাই থেকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্বাধীনতার এই সূর্য্য সন্তান। আইসিইউতে রাখার পর গত শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে শনিবার তাকে ১১১ নম্বর কেবিনে আনা হয়। এরপর গত সোমবার সকাল ১১টায় তিনি স্ট্রোক করেন।
মেজর জিয়ার স্ত্রী কানিজ মাহমুদা বলেন, মেজর জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভাল না। তার লিভার সম্পূর্ন নস্ট হয়ে গেছে। দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। দেশে বর্তমানে এটি সম্ভব নয় বলে সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের বাইরে নিয়ে লিভার প্রতিস্থাপন করতে প্রচুর টাকা খরচ হবে। আর এজন্য স্বামীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এ অবস্থায় আর বেশি দেরি করলে তাকে আর বাঁচানো যাবেনা।
স্কয়ার হাসপাতালের ড. এম এস আরেফিনের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীনে থাকা বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে লিভার প্রতিস্থাপনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বেশ কিছু দিন আগে দেশেই লিভার প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা চালু হলেও বর্তমানে তা আর কার্যকর নেই। যার ফলে মেজর জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হলে অবশ্যই তাকে দেশের বাইরে নিতে হবে। সেটা ভারতে অথবা সিঙ্গাপুরেও হতে পারে। আর এজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে এখন সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে।