মো. মেহেদী হাসান >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শের-ই বাংলা পাঠাগারে পাঠাগার আন্দোলনের আয়োজনে ১৭তম সাপ্তাহিক পাঠচক্র আজ শুক্রবার বিকালে পাঠাগারের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজকের পাঠচক্রের বিষয় ছিলো “রবীন্দ্র সাহিত্য”।
এই পর্বের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দশম বি.জে.এস পরীক্ষায় সুপারিশ প্রাপ্ত সহকারী জজ সাব্বির মো.খালিদ। বিশেষ অথিতি হিসেবে ছিলেন কবি মলয় দত্ত। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি যৌথভাবে সাহিত্য আসরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করেন।
আরও উপস্হিত ছিলেন, কবি মলয় দত্তের সফর সঙ্গী মো. রায়হানুল ইসলাম, রেনেসাঁস মঠবাড়িয়ার সদস্য আইনজীবি(শিক্ষনবীশ) তরিকুল রুবেল, মঠবাড়িয়া সাইকেলিষ্ট গ্রুপের প্রিন্স মাহমুদ, মাসুম বিল্লাহ, মো. রিয়াজুল ইসলাম রাসেল, আবৃত্তিকার মিরাজ আহম্মেদ ফিরোজ, রেনেসাঁস মঠবাড়িয়া ও পাঠাগারের নিয়মিত সদস্য আব্দুল্লাহ আল রাফি (ওহি), আমিনুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল ওমর, ইব্রাহিম হোসেন ইমন,কৌশিক মিত্র, মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম জুয়েল, আফিয়া সায়মা সহ প্রমূখ। আলোচনার শুরুতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাহিত্যকর্ম বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মাসুম বিল্লাহ।
আলোচকরা বিশ্ব কবির সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তাদের মত পোষণ করেন। আলোচনার মধ্যে বিরতি রেখে রেখে কবি মলয় দত্ত তার স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। পাঠচক্র আসরে সাইকেলিষ্ট গ্রুপের প্রিন্স মাহমুদ তার প্রথম অংশগ্রহণের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “আমি এবারই প্রথম পাঠচক্রে অংশ নিলাম।সাধারন লেখা পড়ার চাপে বাংলা সাহিত্য চর্চা একদমই হয় বললেই চলে। শের-ই-বাংলা পাঠাগার সাপ্তাহিক পাঠচক্র আয়োজনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এবং আমি সবাইকে পাঠাগারে আসার এবং পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করতে বলবো।”
প্রধান আলোচক সাব্বির মো. খালিদ তার বক্তব্যে বলেন, “রবীন্দ্র সাহিত্য শুধু পাঠ করার বিষয় নয় চর্চার বিষয়,ধারন করার বিষয়। জাতীয় জীবনে বাঙালির প্রতিটি স্পন্দনে রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির উৎসবে রবীন্দ্রনাথ,উল্লাসে রবীন্দ্রনাথ। দেশপ্রেমে রবীন্দ্রনাথ, জাতীয়তাবোধে রবীন্দ্রনাথ।”
এরপর আনুষ্ঠানিক আবৃত্তি পর্বে কবি মলয় দত্ত তার প্রথম কাব্যগ্রন্হ, “মায়ের হাঁস গুলিরে জংলা খালে দেবতার মতো লাগে থেকে একাধিক কবিতা আবৃত্তি করেন, কবি মেহেদী হাসান (সাদা কাঁক) তার পণ্ডুলিপি থেকে একাধিক কবিতা আবৃত্তি করেন, খালিদ মো. সাব্বির সুবোধ সরকারের”শাড়ি” কবিতাটি আবৃত্তি করেন, আবৃত্তিকার আহমেদ ফিরোজ আবৃত্তি করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী করিতাটি, মাসুম বিল্লাহ তার স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন, প্রিন্স মাহমুদ, হেলাল হাফিজের “যে জ্বলে আগুন জ্বলে” কাব্যগ্রন্হ থেকে আবৃত্তি করেন।
শেষে রেনেসঁস মঠবাড়িয়ার পক্ষ থেকে কবি মলয় দত্তকে বই উপহার দেয়া হয়।