ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - আমি গণমাধ্যমে বাধার পক্ষে নই: গওহর রিজভী

আমি গণমাধ্যমে বাধার পক্ষে নই: গওহর রিজভী

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, আমি গণমাধ্যমে বাধার পক্ষে নই। আর বর্তমান সময়ে এসে সংবাদ প্রকাশে কোনো সরকারই বাধা দিতে পারে না। কারণ স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না।

শনিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রতিযোগিতা ২০১৫’ এর পুরস্কার ঘোষণা এবং ‘গণমাধ্যম ও সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

‘তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শুধু সরকারের দিক থেকেই বাধাগ্রস্থ হয় না। এর সঙ্গে অন্যরাও আছে। অনেক সংস্থা, অনেক ব্যক্তিও আছেন।সেটার দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে’- এ কথাও বলেন গওহর রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম সাহসিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিআইবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ড. আকবর আলি খান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। আলোনায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।

ড. আকবর আলি খান বলেন, বিশ্বে সুশাসনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচের দিকে হলেও এদেশের গণমাধ্যমের অর্জন প্রশংসনীয়। বর্তমানে দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পেীছে গেছে যা রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয় । তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সোচ্চার থাকলে তা কমানো সম্ভব।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যম যেমন সরকারের ইতিবাচক তথ্য প্রচার করবে, তেমনি সরকারের সমালোচনাও করবে। এই সমালোচনা সরকারকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রতিযোগিতায় এ বছর প্রিন্ট মিডিয়া জাতীয় বিভাগ ক্যাটাগরীতে বিজয়ী হয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন সেল এর সম্পাদক মিজান মালিক এবং নিজস্ব প্রতিবেদক সাজ্জাদ পারভেজ। এই প্রতিবেদনে ভিডিওচিত্র ধারণ করায় একই টেলিভিশনের ভিডিও চিত্রগ্রাহক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল’কেও বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়া এ বছরই প্রথমবারের মত প্রবর্তিত ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের নিজস্ব^ প্রতিবেদক জি এম মোস্তাফিজুল আলম বিশেষ সম্মননা অর্জন করেন। প্রতিবেদনটির ভিডিও চিত্রগ্রহণ করায় চিত্রগ্রাহক জাহাঙ্গীর আলম রতনকেও বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিচারকমন্ডলীর বিবেচনায় মান সম্মত প্রতিবেদন না পাওয়ায় এ বছর প্রিন্ট মিডিয়া আঞ্চলিক বিভাগ ও ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ বিষয়ে প্রিন্ট মিডিয়া জাতীয় বিভাগে কাউকেই পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। বিজয়ী সাংবাদিকদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকার চেক এবং দুইজন ভিডিও চিত্রগ্রাহকের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে চেক দেয়া হয়।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় চারবারের সাংসদ ডা. ফরাজিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজ বিজয়ী

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া একক আসনে কোনও অপ্রীকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে ...