ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে পলাতক ঘাতক পিতার মৃত্যুদন্ড

মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে পলাতক ঘাতক পিতার মৃত্যুদন্ড

পিরোজপুর প্রতিনিধি > পিরোজপুরে মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ঘাতক পিতা পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস.এম জিল্লুর রহমান অভিযুক্ত আসামীর অনুপস্থিতিতে জনাকীর্ণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ঘৃণ্যতম এ হত্যাকান্ডের আদেশ দেন।

আদালত একই সাথে আসামী পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে দন্ড প্রাপ্ত আসামী আলমগীর হোসেন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক বর্তমানে রয়েছে। দন্ডিত আলমগীর হোসেন মঠবাড়িয়া উত্তর পাঠাকাটা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর পাঠাকাটা গ্রামের আসামী আলমগীর হোসেনের সাথে বিউটি রানী নামে এক সংখ্যালঘু নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই পরকীয়া প্রেমে আলমগীরের স্ত্রী হাফিজা বেগম বাঁধা দিলে দাপ¥ত্য কলহের সৃষ্টি হয়। ২০০৮ সালের ২২ জুন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাতে পাষন্ড আলমগীর স্ত্রী হাফিজা বেগমকে বাতের ইনজেকশন দেওয়ার পরিবর্তে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেয় এবং পুত্র আশরাফুর (১১) ও কন্যা জামিলা (৩) কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। এরপর আলমগীর স্ত্রী ও সন্তানদের ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য ঘাতক আলমগীর ঘটনার রাত ১১টায় তার শ্যালক আবুল বাসারকে ফোন করে জানান, তাদের গ্রামে ডাকাত পড়েছে এবং ডাকাতরা তার স্ত্রী,পুত্র ও কন্যাকে জবাই করে হত্যা করেছে। পরে আসামীর ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে ঘরের মশারী উঠিয়ে দেখে খাটের উপরে তিনজনের গলাকাটা লাশ পরে আছে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের সন্দেহ হলে তারা আলমগীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে পুলিশের কাছে আলমগীর হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ ঘটনার পরদিন ২৩ জুন হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে আলমগীরের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ ২০০৮ সালের ২৪ জুন ঘাতক আলমগীরকে গ্রেফতার করে। পরে হাইকোর্ট থেকে সে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মাহবুবুর রহমান ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর কে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ মামলায় বাদী, ময়নাতদন্ত ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ মোট ২৬ জন সাক্ষ্য তাদের সাক্ষ্য দেয়। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...