মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসির মানববন্ধন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সুমী আক্তার (১৪) নামে এক মেধাবী স্কুল ছাত্রীকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মারধর ও ব্লেড দিয়ে শরীর ক্ষত বিক্ষত করার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর সোনাখালী মুন্সী আব্দুল কাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মূখ মঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সহ¯্রাধিক এলাকাবাসি অংশ নেন।
এসময়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোতাম্বর হোসেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ সিকদার, সমাজ সেবক মোশারফ শরীফ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহারাজ মৃধা, সহ- প্রধান শিক্ষক অপরানন্দ কীর্তুনীয়া, মো. শাহ আলম ও শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল শরীফ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তরা মেধাবী স্কুল ছাত্রী সুমী আক্তারের ওপর বর্বোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামের হোসেন তালুকদারের মেয়ে ও সোনাখালী মুন্সী আব্দুল কাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সুমী আক্তার শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ওই গ্রামের ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তার সঙ্গীয় অপর এক নারী মিলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্কুল ছাত্রী সুমীর ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তাকে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে ধারালো ব্লেড দিয়ে মেয়িটির সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত করে। মেয়টির আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা আহত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে আসলে স্কুল কর্তৃপক্ষ গুরুতর অবস্থায় তাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রীর দাদা সৈয়দ তালুকদার বাদি হয়ে দুজনকে আসামী করে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া পুলিশ পরিদর্শকর্ (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।