ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বাংলাদেশ ছাত্রলীগ : গৌরব, ঐতিহ্য , সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯ বছর

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ : গৌরব, ঐতিহ্য , সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯ বছর

বিশেষ প্রতিনিধি >

আজ ৪ জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯ বছর। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । ইতিহাসের পাতায় ছাত্রলীগের ইতিহাস বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য।

১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়েছিল। বৃটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্ত হয়ে পাকিস্তানি পরাধীনতায় প্রবেশের এক বছরের মাথায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এইদনে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে রেখেছিলেন দুই যুগ। বাংলা ও বাঙালির যা কিছু সোনালী অর্জন তার সবকিছুরই গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পৃথিবীর দেশে দেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস খুজলে দেখা যাবে সময়ের প্রয়োজনে জন্ম নিয়েছে অনেক সংগঠন। তিারা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সময়কে। ১৯৪৮ সালে সময়ের প্রয়োজনেই জন্ম হয়েছিল ছাত্রলীগ। অহর্নিশ লড়াই সংগ্রামে ইতিহাসের অগ্নিগর্ভে জন্ম নিয়েছে ৫২, ‘৬২, ‘৬৯ এবং অবশেষে ‘৭১। ১৭ হাজার নেতা কর্মীর শাহাদৎবরণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বের গৌরবের ধারক আজকের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ গড়ার সংগ্রামে ব্যাপৃত থাকার সুযোগ পেয়েছে এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা। পুনর্গঠন, দারিদ্র দূরীকরণ ও নিরক্ষতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতির জনকের উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল সেদিন ছাত্রলীগ। পচাত্তরের পর দীর্ঘ ২১ বছর আবারো অন্ধকার অপশক্তির বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রাম চালিয়েছে এ সংগঠনটি । এই সময়কালে রাত শেষের সোনালী সূর্যোদয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে কত সহযোদ্ধা, প্রকাশ্য দিবালোকে গল্প রক্তে রাজপথ রঞ্চিত হয়েছে কত বার সাথীর। আমাদের পূর্ব প্রজন্মের সেই পুণ্যত্থাদের পবিত্র আত্মদানের কারণেই ছাত্রলীগ আজো লড়াইয়ের ময়দানে।
সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ শিক্ষার অধিকবার, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বন্যার্তদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম, বৃক্ষরোপণ সহ দেশ গঠনমূলক কাযক্রমে আত্মনিয়োগ করেছিল। আজ আবারো ধ্বংস, মৃত্যু, রক্তপাত আর গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রামে ব্যাপৃত রয়েছে আমাদের প্রিয় সংগঠন। ইতিহাসের অমোঘ নির্দেশেই যেন আজ আমরা লড়াই করছি ইতিহাসেরই শত্রুর বিরুদ্ধে। বাঙালি জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া এ যুদ্ধে জয়লাভের কোন বিকল্প নেই। গণতন্ত্র, নানাবাধিকার এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য এই লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের জন্য চাই সুশৃঙ্খল, সুসংগঠতি ও চেতনায় উদ্দীপ্ত, সংগ্রামে সম্মুখবর্তী লড়াকু সংগঠন। সংগঠিত সংগঠনের জন্য চাই সুগ্রনি’ত গঠনতন্ত্র। একটা সংগঠনের দৈনন্দিন ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র কেবলই কোন সংগঠনের গঠনতন্ত্র নয়। অর্ধশতাব্দীর অধিক সময় ধরে কার্যকর এই গঠনতন্ত্র এখন বাঙালির সমসাময়িক রাজনৈতিক ইতিহাসের অনিবার্য উপাদান। তারপর ১৯৯৫, ৬৬, ৬৭, ও ৬৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় রদবদল করা হয়। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে ১৯৭২, ’৭৬, ’৮৬, ’৯২, ও ’৯৪ সালের পর ২০০২ সালের সম্মেলনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দীর্ঘ চলার পথে পাথেয় রূপে রয়েছে কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরে আদর্শিক প্রেরণা।

জাতির জনকের ভাষায়, নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন’ সংগঠন বেঁচে থাকলে আদর্শের মৃত্যু হতে পারে না। আদর্শিক নেতৃত্বের পাশাপামি সাংগঠনিক নেতৃত্বের অনন্য সম্পদের আমরা ঐশ্বর্যবান। জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এবং শিক্ষা শান্তির সংগ্রামে বীর সেনানী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাংগঠনিক নেতৃত্বে ঐতিহ্যের ছাত্রলীগ আরও সুসংহত।

আজ ৬৯ বছরের ছাত্রলীগ গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পাল করছে । সংগ্রামী অভিভাবদন ।

তথ্য সুত্র : বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট সমূহ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...