সা্ইফুল বাতেন টিটো >
দীর্ঘ দুই বছর আমি দীপ্ত টেলিভিশনে শিল্প নির্দেশক হিসেবে কাজ করার পর আমি আমার একান্ত ব্যাক্তিগত কারনে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছি। এই দুই বছরে যারা আমার সহকর্মী ছিলেন সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক ভালবাসা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এই দুই বছরে যারা বিভিন্ন সময় আমাকে পেশাগত ও ব্যাক্তিগত সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি রইল আমার ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা। দীপ্ত টেলিভিশন সম্প্রচারে আসার এক বছর আগে আমি দীপ্ততে জয়েন করেছিলাম। পালকী নামক ধারাবাহিক নাটকের সেট নির্মাণের সময় থেকে-ই আমি কাজ করছিলাম এই ধারাবাহিকটির সাথে। কাজ করতে গিয়ে যেটা দেখেছি পালকী সেট আর এক সময় কাজের ক্ষেত্র মনে হত না, মনে হত নিজের ঘর। আর সেই মনে হওয়া কেবল আমার একার ছিল না। নাটকের পরিচালক, শিল্পি ও অন্যান্য কলাকুশলী সবার-ই এই বোধটা তৈরি হয়েছিলো। আমরা একটা দিনের বেশিরভাগ সময় কোন না কোন ভাবে একত্রেই থাকতাম। দুঃখ কষ্ট এমনিতেই ভাগাভাগি হত। আমার এটা মনে আছে খুব ভাল ভাবে যে এখানকার সবাই সেটে জন্মদিন পালন করত। অসম্ভব ভাল মনের মেয়ে অভিনেত্রী ফারিয়া খান দিনের পর দিন নিজের উদ্যোগে সবার জন্মদিন পালন করত। অভিনেতা ইমটু রতিশ সেটে ঢুকলে কারো আর মন খারাপ থাকার উপায় ছিল না। আমি কার কথা বলব আলাদা করে? আমার সব সহকর্মীর কথাই আমার চিরদিন মনে থাকবে। তবে সবাইকে ভীষণ মিস করব। আপনারা সবাই আমার জন্য শুভ কামনা করবেন। আমার মনে পরে না এই দুই বছরে আমি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি। তার পরও যদি কেউ কখন আমার কোন আচরণে এতটুকু কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি তাঁর কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী। বিশেষ করে আমার শায়লা আহম্মেদ আপা’র কাছে আলাদা ভাবে ক্ষমা প্রার্থী কারন আপনাকে অনেক জলিয়েছি। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক যে দীপ্ত থেকে চলে আসায় আপনি আমার হাত থেকে বেচে গেছেন তা কিন্তু একদম-ই নয়। আপনি তো আমার ছোট বেলার বস। সো আপনাকে অনেক জ্বালাবে। কারন আপনাকে ভালবাসি শ্রদ্ধা করি। আর মনন ভাই আপনি অনেক ভাল কবিতা লেখেন। আপনিও আমার অনেক জালা সয়েছেন। বিনিময়ে আপনাকে ভালবাসা ছাড়া কিছু আপাতত দিতে পারব না। আপনার ভিতরের শিশু মনটা কে আমি অনেক ভালবাসি।
কর্মক্ষেত্র হিসেবে দীপ্ত খুব-ই ভাল একটি টিভি চ্যানেল। এরা সম্পূর্ণ নতুন ভাবে এদেশের সাধারন দর্শকদের জন্য কিছু করার প্রয়াস চালাচ্ছে। আমি সকল শুভ পরিবর্তনের পক্ষে। দীপ্তর প্রয়াসের সফলতা আমার কাম্য।
সবাইক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা।
লেখক : মিডিয়া কর্মী