মো. আলমগীর হোসেন খান >
মানুষের জম্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময় বলে দেয় কাকে কখন কোন কাজটি করতে হবে। যিনি বা যাহারা সময়ের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন না তাকে বঞ্চিত হতে হয় জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে। আবার যিনি বা যাহারা সময়ের আহ্বানে সারা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পারেন তার জীবন স্বর্নজ্জ্বলে পরিনত হয়। তেমনি করে সমাজ, পরিবেশ, অঞ্চল বা রাষ্ট্র প্রতিটি ক্ষেত্রে একই অবস্হা।
এক সময় রাষ্ট্র পরিচালিত হত বংশগত ভাবে। সে সময়ে বংশে বংশে মরামারি লেগে থাকত। শক্তির পরীক্ষায় যারা জয়ী হত তারা টিকে থাকত এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করত। এর পরে সম্প্রদায়গতভাবে , তার পর জাতিগত ভাবে। কথা একটাই সবাইকে শক্তি দিয়ে টিকে থাকতে হতো। এমনকি প্রানীকুলও যাদের শক্তি আছে, বুদ্ধি আছে, কৌশল আছে, দলবদ্ধভাবে চলার পরিকল্পনা আছে, আবহাওয়া-জলবায়ূর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে তারাই শুধু টিকে আছে। যারা পারেনি তারা হারিয়ে গেছে স্মৃতির অতল গহ্বরে। তারা শুধু বইয়ের পাতার ইতিহাস।
আমাদের এ দেশটি এক সময়ে বন জঙ্গলে আবৃত ছিল। সময়ের প্রয়োজনে আস্তে আস্তে বনের গাছ পালা কাটতে থাকলো আর মানুষ ঘর বাড়ি তৈরী করে বসত শুরু করল অনেক প্রতিকূলতার মাঝে। মানুষ গুলোও তখন হিংস্র ছিল বেঁচে থাকার তাগিদে। একের পর এক বন উজাড় করে বসতি স্হাপন করতে থকলো। সেই পরিবেশের কথা চোখ বুজে ভেবে দেখুনতো সভ্যতা তাদের কোথায় ছিল। কালের পরিক্রমায় সময়ের প্রয়োজনে যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে সেন, মোঘল পেরিয়ে বৃটিশ-পাকিস্তান শাষন-শোষন অতিক্রম করে জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। তার পরেও অনেক অনুন্নত থেকে আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ডিজিটাল বাংলায় পরিনত হয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে ২০৪১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার টার্গেট নিয়েছেন।
আজ আমাদের জন্যও সময় এসেছে দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর, পূর্ব ও পশ্চিমে বিশখালী ও বলেশ্বর এ ভূ-ভাগ নিয়ে ১৮৫৯ সালে যেখানে থানা গঠিত হয়েছিল, আজ সময়ের প্রয়োজনে সেখানে জেলা গঠিত করতে হবে। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য, যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য, শিক্ষা ব্যবস্হা প্রসারিত করার জন্য, বিচার ব্যবস্হার দ্রুত সুবিধার জন্য, কৃষি সুবিধা সম্প্রসারিত করার জন্য, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা বিকাশের জন্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নের জন্য, চিকিৎসা সুবিধা দোড়-গোড়ায় পৌছানোর জন্য, জেলা ওয়ারী সুযোগ-সুবিধা আদায়ের জন্য অবশ্যই পাথরঘাটা, বামনা, কাঠালিয়া, ভান্ডারিয়া, প্রস্তাবিত মিরুখালী(দাউদখালী, তুষখালী, ধানীশাফা, পাটিখালঘাটা, তেলিখালী, ইকড়ি ও মিরূখালী ইউনিয়ন) ও মঠবাড়িয়া উপজেলা মিলে মঠবাড়িয়াকে জেলায় পরিণত করতে হবে। এ দায়িত্ব প্রস্তাবিত মঠবাড়িয়া জেলার সকল রাজনৈতিক নেতৃ বৃন্দের, এ এলাকার সকল সু-সন্তান যারা দেশের বড় বড় পদে কর্মরত, শিক্ষিত জন, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের। এ দায়িত্ব থেকে কেউ এড়িয়ে যেতে পারেন না। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ তাকিয়ে আছে আপনাদের মুখের দিকে। সময়ের প্রয়োজনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে একই মানব বন্ধনে, একই মিছিলে, মঠবাড়িয়াকে জেলা ঘোষনার পতাকা তলে।
লেখক > অধ্যক্ষ, মিরূখালী স্কুল এন্ড কলেজ।