পিরোজপুর প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে চুরির অপবাদ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে রোববার দুপুরে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লেবুজিলবুনিয়া গ্রামের দিন মজুর মন্টু মিয়ার ছেলে লেবুজিলবুনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র মাহাবুবকে (১৩) চুরির অপবাদ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও গ্রাম পুলিশ মোজাম্মেল হক। অভিযোগ শনিবার একই গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আলাউল হকের বসত ঘর থেকে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা চুরি হয়। পরে ওই গ্রামে নানা বাড়ীতে বেড়াতে আসা উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমনের (৮) কাছ থেকে স্থানীয়রা ওই টাকা উদ্ধার করে। প্রথমে ইমন ওই টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে বলে দাবী করে এবং মাহাবুবও তার সাথে ছিল বলে জানায়। এ ঘটনা শুনে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও গ্রাম পুলিশ মোজাম্মেল হক ওই দিন সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুবের বাড়ীতে গিয়ে তার কাছে স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য তাকে শারীরিক নির্যাতন করে।
ইমনের মামা মহিবুল্লাহ বলেন, ইমন দোকানে গিয়ে ওই টাকা দিয়ে সিঙ্গারা কিনতে গেলে দোকানদার তার কাছে টাকাগুলো দেখে তাকে খবর দিলে তিনি ইমনের কাছে ১৮ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করেন। মেম্বার সংবাদ পেয়ে এসে তার কাছ থেকে টাকাগুলো নিয়ে যায়।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আলাউল হক বলেন, আমার ঘর থেকে গত শনিবার টাকা চুরি হয়। ইমন অনেক লোকের সামনে আমার ঘর থেকে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে। সে মাহাবুবকে জড়ালেও আমার চাকুরীর ধারণা থেকে মাহাবুব জড়িত আছে বলে মনে হয়নি। তাকে অকারণেই মারধর করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকা মেম্বারের কাছে ফেরত চাইলেও তিনি আমাকে টাকা দেয়ননি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া টাকা আমার কাছে জমা আছে। তবে আমি মাহাবুবকে কোন মারধর করিনি। গ্রাম পুলিশ মোজাম্মেল দুটি চড়-থাপ্পর মেরেছে।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভির হাসান বলেন, মাহাবুবের পায়ে আঘাত রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।