ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির দাবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির দাবি

বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগ তথা মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা সমন্বয়ে মঠবাড়িয়া জেলা গঠনের দাবী নতুন নয়। এ এলাকার জনগণ মঠবাড়িয়া মহকুমা গঠনের দাবি করলে ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা প্রয়াত জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগ মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা ও বামনা থানা (বর্তমানে উপজেলা) সমন্বয়ে মঠবাড়িয়া মহকুমা গঠনের দাবি জানিয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবরে একখানা ডি.ও. লেটার প্রদান করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে এ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আর অগ্রসর হয়নি। ১৯৮৪ সালে লেঃ জেনারেল এইচ.এম. এরশাদ সকল মহকুমাকে জেলায় পরিণত করলে আমি নিম্ন সাক্ষরকারী ১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় (চিঠিপত্র কলামে) মঠবাড়িয়া জেলা গঠনের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। জনগণের পক্ষে আমার বক্তব্য ছিল নিম্ন রুপঃ বৃটিশ আমলে এ অঞ্চলের কৃষক বিদ্রোহ দমনের জন্যে ১৮৫৯ সালে বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগে মঠবাড়িয়া থানা গঠিত হয়। ওই সময়ে বর্তমান ভান্ডারিয়া, কাঁঠালিয়া, বামনা ও পাথরঘাটা থানা মঠবাড়িয়া থানার অন্তর্ভূক্ত ছিল। প্রশাসনিক সুবিধার জন্যে মঠবাড়িয়া থানা থেকে ১৮৭২ সালে ভান্ডারিয়া, ১৯১১ সালে বামনা , ১৯১৮ সালে কাঁঠালিয়া এবং ১৯২১ সালে পাথরঘাটা থানা গঠিত হয়। বৃহত্তর মঠবাড়িয়া থানা পিরোজপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) অন্তর্ভূক্ত ছিল।

১৯৬৯ সালে পাথরঘাটা ও বামনা থানাকে বিষখালী নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন বরগুনা মহকুমা (বর্তমানে জেলা) এবং ১৯৭০ সালে কাঁঠালিয়া থানাকে ঝালকাঠি মহকুমার (বর্তমানে জেলা) সাথে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। মঠবাড়িয়া উপজেলা পিরোজপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত এবং কচা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। অপরদিকে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা বরগুনা জেলা সদর থেকে বিষখালী নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলার আয়তন একত্রে প্রায় সাড়ে আট শত বর্গ কিঃ মিঃ এবং জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ, যা ঝালকাঠি এবং মেহেরপুর জেলার চাইতে বড়। মঠবাড়িয়ার সাথে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ভাল থাকায় জনগণ অনায়াসে মঠবাড়িয়ায় যাতায়াত করতে পারেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে বিচার করলে বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মধ্যবর্তী ভূভাগ মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা সমন্বয়ে মঠবাড়িয়া জেলা গঠন করা হলে এ এলাকার জনগণ প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উপকৃত হবে। মঠবাড়িয়া জেলা গঠনের দাবি জোরদার করার জন্যে ২০০৩ সালের ১৮ মার্চ গঠিত হয় জেলা বাস্তবায়ন কমিটি। কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ারুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক খান মজনু (মঠবাড়িয়া), সৈয়দ রহমাতুর রব ইরতিজা আহসান (বামনা), এ্যাডভোকেট এন.আই. খান (পাথরঘাটা) প্রমুখ। কমিটির প্রভাবশালী সদস্যগনের মধ্যে অধিকাংশ সদস্য ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ ও বার্ধ্যক্য জনিত কারণে নিস্ক্রিয় হলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে আমি ২০১৩ সালের ৩১ আগষ্ট দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় (চিঠিপত্র কলামে) মঠবাড়িয়া জেলা গঠেেনর দাবিটি পুনরায় তুলে ধরি। বিষয়টি সরকার আমলে না নেয়ায় আমার পরামর্শে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের মাননীয় সদস্য ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী এটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। সরকার দাবিটি এড়িয়ে গিয়ে মঠবাড়িয়ার জনগণের সুবিধার্থে কচা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমাদের প্রাণের দাবি মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা সমন্বয়ে অবিলম্বে মঠবাড়িয়া জেলা গঠন এবং কচা নদীর চরখালী পয়েন্টে সেতু নির্মাণ করা হোক।
মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির পক্ষে

নূর হোসাইন মোল্লা
সদস্য সচিব,

, মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটি
এবং

অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর ।

Leave a Reply

x

Check Also

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন আটক

পিরোজপুর প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে ...