আজকের মঠবাড়িয়া সত্য প্রচারে সোচ্চার 
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করতে গিয়ে গার্মেন্টস কর্মী রাবেয়ার(২৭) সাথে পরিচয় ঘটে অটো চালক মিন্টু সরদারের(৩৫)সাথে । পরিচয় থেকে প্রণয় । এরপর তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির ঘরে ১১ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। এমন অবস্থায় উভয়ের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি রাবেয়া তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড় শিংগা গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এর সে স্বামী মিন্টুকে তালাকনামা পাঠায়। কিন্তু নাছোরবান্দা প্রেমিক মিন্টু স্ত্রীর তালাক মানবেনা । তাই স্ত্রীকে ভালোবাসার প্রমাণ দিতে শ্বশুর বাড়িতে সকলের সামনে ব্লেড দিয়ে নিজের সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করলেন। আজ রবিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় শিংগা গ্রামে স্ত্রী কর্তৃক তালাক প্রাপ্ত স্বামী মিন্টু এমন কান্ড ঘটায়। পরে আহত মিন্টু থানা পুলিশের কাছে প্রতিকার চাইতে থানায় উপস্থিত হস। পুলিশ নাছোরবান্দা প্রেমিক মিন্টুকে হাসপাতালে পাটিয়ে দেয়।ধারালো ব্লেডে রক্তাক্ত মিন্টু মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুবাদে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় শিংগা গ্রামের দিনমজুর আবদুল হালিম মৃধার মেয়ে রাবেয়া বেগম (২৭) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের নাদের আলী সরদারের ছেলে অটো চালক মিন্টু ওরফে সাগর (৩৫) প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।সাড়ে তিন বছর পূর্বে সাগরের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জের ধরে রাবেয়া বেগম ঢাকা থেকে পালিয়ে মঠবাড়িয়ায় বাবার বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসে গত ২৪ আগস্ট রাবেয়া বেগম নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে স্বামী মিন্টুকে তালাকনামা পাঠায় । এদিকে ডিভোর্সের খবর পেয়ে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়ায় চলে আসে মিন্টু। শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রী সন্তানকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে চায় সে ।কিন্তু রাবেয়ার মিন্টুর সংসার আর করবেনা সাফ জানিয়ে দেয়। এসময় স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা জানায় রাবেয়া। স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে ও ভালোবাসার প্রমাণ দিতে সাগর স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সামনেই ব্লেড দিয়ে নিজের সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে। পরে ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়ে মঠবাড়িয়া থানায় উপস্থিত হয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি জানায় পুলিশের কাছে। এসময় থানা পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
এব্যাপারে রাবেয়া বেগমের অভিযোগ, তার স্বামী মিন্টু একজন নেশাখোর। বিয়ের পর তার স্বামী তাকে দিয়ে অবৈধ ব্যবসা করার চেষ্টা চালিয়েছে। এতে সে রাজী না হওয়ায় তাকে একাধিকবার নির্যাতন করা হয়। পরে বাধ্য হয়ে ঢাকা থেকে সে পালিয়ে বাবার বাড়িতে এসে স্বামীকে তালাকনামা পাঠায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন মিন্টু সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমি স্ত্রী ও সন্তানকে অনেক ভালোবাসি। ডিভোর্সের খবর শুনে আমি পাগলের মতো আমার স্ত্রীর কাছে ছুটে আসি। আমি তালাক মানিনা। আমি আমার স্ত্রী সন্তানকে ভালোবাসার প্রমাণ দিতেই ব্লেড দিয়ে নিজেই নিজের সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেছি।
► এই পাষন্ডের ২২-১২-২০১৬ ইং তারিখে রাবেয়া বেগম কে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
