মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে সরকারি জমিতে ভূয়া বন্দোবস্তের মাধ্যমে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে দখলের অভিযোগে নুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক প্রতারককে একমাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিএম সরফরাজ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডিত নুরুল ইসলাম উপজেলার মিরুখালী গ্রামের মৃত ধলু মল্লিকের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সংক্রান্ত নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
থানা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মিরুখালী মাছ বাজার সংলগ্ন জে,এল ২৬,সরকারি খাস এস এ খতিয়ান নং ৭৩, ১১৮৪,১১৮৬,১১৮৭ দাগে মোট সোয়া তিন শতাংশ জমিতে অবৈধ ভাবে গত কয়েক দিন ধরে ওয়াহেদাবাদ গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেন ওই জমি দখল করে পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। গত বুধবার ছাদ ঢালাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের লোকজন বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চান। এসময় জমির মালিকানা বন্দোবস্ত দাবি করে ইসমাইল হোসেন জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র দেখান। ওই আবেদন পত্রে জেলা প্রশাসকের সাক্ষর নিয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস জেলা প্রশাসকের সাক্ষরটি ভূয়া সনাক্ত করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এঘটনায় দখলদার ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাল সাক্ষরের মূল রহস্য উন্মোচিত হয়। স্থানীয় এক প্রতারক নূরুল ইসলাম তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে বিনিময়ে জেলা প্রশাসকের ভূয়া সাক্ষরের বন্দোবস্ত অনুমোদন পত্র দেয়। পরে পুলিশ ওই রাতেই জেলা প্রশাসকের সাক্ষর জালকারি মুল প্রতারক নুরুল ইসলামকে আটক করে । আজ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত প্রতারক নুরুল ইসলামকে ভ্রাম্যমান আদলতে হাজির করা হয়। এসময় অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ভ্রামমান আদালতে অপরাধ স্বীকার করায় আদালত তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করে।
মঠবাড়িয়া থনার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান মিলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দণ্ডিত প্রতারক নুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।