ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ায় নির্মাণের ২২ দিনের মাথায় ধসে পড়লো মাদ্রাসা কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদ !

মঠবাড়িয়ায় নির্মাণের ২২ দিনের মাথায় ধসে পড়লো মাদ্রাসা কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদ !

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি <>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্নের ২২ দিনে মাথায় ছাদ ধসে পড়েছে। ওই ভবনের নির্মাণ শ্রমিকরা ভবনের চিলে কোঠার ছাদ লাগোয়া নির্মাণ সামগ্রী খুলতে গেলে এ ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে। এসময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক শ্রমিক। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলার উপজেলার খায়ের ঘটিচোড়া হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা কাম বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের ২২ দিন পর বুধবার দুপুরে তিন তলার চিলে কোঠার ছাদ হঠাৎ ধসেপড়ে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রধান এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় দুই কোটি ২৬ লাখ ১৬হাজার টাকা ব্যায়ে মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোড়া হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা কাম বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ নির্মাণ করা হয়। গতবছর পিটিএস মৈত্রী প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্নে দায়িত্ব পায়। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পার্শ্ববর্তী ভা-ারিয়া উপজেলার শহীদুল বিশ্বাষ ও সগীর পোদ্দার নামের দুই ঠিকাদারের কাছে কাজ বিক্রি করে দেন। সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে ওই দুই ঠিকাদার মাদ্রাসা কাম বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ৩ তলা ভবনের (৭৮০.০৮ বর্গমিটার) নির্মাণ কাজ শুরু করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজের শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ২২ দিন আগে চিলেকোঠার কক্ষে ঢালাইর কাজ শেষ করে ঠিকাদার। এরপর ওই ছাদ থেকে শ্রমিকরা সেন্টারিং এর বাঁশ,কাঠ খুলতে গেলে বুধবার দুপুরে সম্পূর্ণ ছাদটি বিকট শব্দে ধসে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযোগ করেন, ভবন নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার কাজে অনিয়ম করে আসছে। তারা নির্মাণ সামগ্রী যথাযথ ব্যবহার না কওে নি¤œ মানের মানের কাজ করে আসছিলো । এর প্রতিবাদ করলে তারা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে ভয়ভীতিও দেখায়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার শহীদুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, রাজ মিস্ত্রী ও নির্মাণ শ্রমিকরা না জানিয়ে ছাদের ঢালাইর কাজ শেষ করে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারনে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। পূনরায় যথাযথ নিয়মে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাদ ঢালাই করে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মসিউর রহমান বলেন, ঢালাই দেয়ার আগে আমাকে তারা অবহিত না করে ছাদ ঢালাই নির্মাণ কাজ শেষ করে। ছাদ ধসের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনা স্থল পরিদর্শণ করেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্কৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...