মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় টিয়ারখালী ও লক্ষনা সংযোগ সড়কে নির্মিত সেতুর দু’পাশে সংযোগ (এপ্রোচ) সড়ক না থাকায় চলচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেতু নির্মাণের এক বছর পার হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ফলে সেতু সংশ্লিষ্ট বাজার, মাধ্যমিক স্কুল ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনে ওই সেতু সংশ্লিষ্ট একটি ভোট কেন্দ্র থাকায় ভোটার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও সেতু পার হতে চরম বিপাকে পড়বে । দুই কোটিরও অধিক টাকা ব্যয়ে টিয়ারখালী ও লক্ষনা সংযোগ সেতুটি গত একবছর আগে নির্মাণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু সেতুর দুই পশের এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ফেলে রাখায় সেতুটি মানুষের কোন উপকারে আসছে না। তাই এলাকাবাসী এ দুর্ভোগের সেতুর দিয়েছে “অহেতুক ব্রিজ”।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,উপজেলার গুলিশাখালী টিয়ারখালী বাজার সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ টিয়ারখালী ও লক্ষনা সংযোগ সড়কে সেতুর অভাবে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোচ্ছিল এলাকাবাসি। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এমআইডির প্রকল্পের আওতায় দুই কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ওই খালের ওপর ৩০ ফুট দৈর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মানের প্রকল্প অনুমোদিত হয়। পরে দরপত্র আহবানের পর তেলিখালী কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে । এরপর দুই পারের সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে প্রকল্পের সমুদয় বিল তুলে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসির চলাচলে চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন জানান, আমাদের উপকারের কথা ভেবে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সেতুওে দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোন কাজে আসছে না। ফলে সেতুটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় অবস্থায় পড়ে আছে। জনস্বার্থে দ্রুত এপ্রাচ সড়ক নির্মাণ জরুরী।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, আমি কর্মস্থলে সম্প্রতি যোগদান করেছি। জমি নিয়ে জটিলতার কারণে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণে জটিলতা হচ্ছে। তবে বিষয়টি যেহেতু জনগুরুত্বপূর্ণ তাই দ্রুততার সাথে তা সমাধান করে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।