মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔹
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আলোচিত মাদ্রসা শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যতম পলাতক আসামি মিজানুর রহমান (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের এক বছর সাত মাস পরে চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড থানা পুলিশের সহায়তায় দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে গত শুক্রবার মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মাজাহারুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আজ মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে তাকে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে হত্যার দায় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত মিজানুর। মঠবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.বিল্লাল হোসেন আসামীর জবানবন্দী গ্রহন করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান উপজেলার বেতমোড় গ্রামের সিদ্দিক মাতুব্বরের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারী রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বেতমোড় দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রসা শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিনকে সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত মাদ্রাসা শিক্ষককে ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর তিনি মারা যান।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা শিক্ষকের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম ৯ জনকে আসামি কওে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকান্ডের এক ছর সাত মাস পর মাস পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীতাকুন্ডের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোহাম্মদ মাজাহারুল আমিন (বিপিএম) জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে আরও তথ্য দিয়েছেন। এর আগে এ মামলায় আরও তিন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছিল তারা উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।