মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔹
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি কমিনিটি ক্লিকিনের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলদার মুক্ত করেছে প্রশাসন। উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমিতে পাকা স্থাপনা গড়ে তুলে স্থানীয় প্রভাশালী সরকারী জমি জবর দখল করেছিল।
আজ সোমবার সকালে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জামান মিয়া শোভন ওই জমিতে থাকা অবৈধ দখলদারদের পাকা স্থাপনা ও টিনের ঘর উচ্ছেদ কওে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল মুক্ত করেন।
জানাগেছে, উপজেলা তুষখালী মৌজার ৬৫,৭০ নম্বর দাগে ৯৫ শতাংশ জমিতে তুষখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। সেখানে ৪০ বছর ধরে ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলে আসছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির পুরাতন ভবন পরিত্যাক্ত হলে নতুন ভবন নির্মান করা হয়। গত পাঁচ বছর আগে থেকে স্থানীয় া হারুন হাওলাদার নামে এক প্রভাবশালী ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রর অংশ ২৩ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে প্রথমে টিনের ঘর তুলে দখলে নেন। সম্প্রতি তিনি সেখানো আরও একটি পাকা স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করেন। প্রশাসন একাধিকবার সরকারী সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রর জমি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে তিনি পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিযে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে সরকারী জমি উদ্ধার করে।
এ দিকে দখলদার হারুন হওলাদার ওই জমি তার পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে বলেন, পৈত্রিক জমি হিসেবে প্রতিবছর তিনি নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। অথচ প্রশাসন আমার জমির স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামান মিয়া শোভন সাংবাদিকদের বলেন, তুষখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলদার দখল কওে স্থাপনা গড়ে তোলেন। সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওই জমির অবৈধ দখলদারের কবল তেকে মুক্ত করা হয়েছে। সেথানে আরও ৮ শতাংশ জমি বেদখল রয়েছে তা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।